ওয়াশিংটন:সবকিছুই আছে চোখের সামনে, হাতের নাগালে, স্পর্শে, গন্ধে, এমনকি অনুভূতিতেও অস্বস্তি আছে কিন্তু বাস্তবে তার কোনও অস্তিত্বই নেই। একেই বলে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি অর্থাৎ কল্পনার বাস্তব। যেমন যদি হঠাৎ করে চোখে পড়ে খামারে গরুরা চোখে ভিআর-বক্স লাগিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে তখন এটা ‘ভার্চুয়াল’ মনে হওয়াটাই খুব স্বাভাবিক। তবে এই বাস্তব খালি চোখেই দেখা যাচ্ছে মস্কোর অনতিদূরে রামেনসকি জেলায় রাসমোলোকো খামারে।
এখানে কৃত্রিম ত্রিমাত্রিক ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য পরিবেশের সঙ্গে গোরুদের সংযোগ স্থাপনের চেষ্টা চলছে। একাধিক দেশের গরুদের নিয়ে গবেষণায় দেখা গেছে, সুস্থ ও মনোরম পারিপার্শ্বিক পরিবেশ পরিস্থিতির প্রভাবে গরুর মনোভাবে পরিবর্তন আনে। এর ফলে তাদের দুধ উৎপাদনের ক্ষমতা বাড়ানো সম্ভব। বিশেষত দুধের গুণগত মানের ওপরে এর ভালো প্রভাব পড়বে বলেও মনে করছেন গবেষকরা। স
মস্কোর কৃষি মন্ত্রকের তরফে একটি খবর প্রকাশিত হয়। সেখানেই ভিআর-বক্স চোখে গরুর ছবিও দেওয়া হয়েছিল। মস্কোর কাছেই একটি খামারে গরুদের ওপর এই পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। পশুচিকিৎসক ও দুগ্ধ বিষয়ক পরামর্শদাতাদের সহায়তায় গরুদের জন্য বিশেষভাবে একটু বড় মাপের ভিআর-হেডসেট তৈরী করেছে এক ডেভেলপার টিম।
এর মাধ্যমে গরুদের দেখানো হচ্ছে সূন্দর গ্রাম্য প্রকৃতি, ঘাসে ভরা মাঠ এমনই নানান দৃশ্য যা গরুর মেজাজ তরতাজা করে তুলবে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির তৃতীয়বিশ্বে ‘ভার্চুয়াল’ জগতের প্রতি মানুষের আকর্ষন দিন দিন বেড়েই চলেছে। ভিসুয়াল গেম, অ্যানিমেটেড মুভি সবেতেই এর ব্যাবহার বাড়ছে। সেক্ষেত্রে বিভিন্ন পেশা ও গবেষণায় ভার্চুয়াল রিয়েলিটির প্রয়োগে ইতিবাচক ও নেতিবাচক উভয় ধরনের প্রভাব পড়তে পারে বলেই বিশেষজ্ঞদের ধারণা। এখন তো কৃত্রিম উপায়ে প্রকৃতিতেও পরিবর্তন আনছে প্রযুক্তি। তৈরী হচ্ছে মেঘ, বিশুদ্ধ হাওয়া, জল। তাই মস্কোর এই গরুদের ওপর ভার্চুয়াল দৃশ্যের প্রয়োগ সফল হলে গো-পালকদের জীবিকায় বিপ্লব ঘটবে বলেই মনে করছেন ডেয়ারি গবেষকরা।