স্পেন: ভারতের মতোই স্পেনেও ভোট দোরগোড়ায়। আর হঠাৎই সেই ভোটের ইস্যু হয়ে উঠেছে এক বিচিত্র বিষয়।
স্পেনের গ্রাম ক্রমশ খালি হয়ে যাচ্ছে। গ্রামের পর গ্রাম লোকশূন্য হয়ে যাচ্ছে। সকলেই বলাবলি করছেন তা নিয়েই। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের মধ্যে ফ্রান্সের পরেই স্পেন দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ। কিন্তু জনসংখ্যার ঘনত্বের নিরিখে ৫ লাখ বর্গ কিলোমিটারের এই দেশ একেবারে নীচের দিকে।
অবস্থা এমন, দেশের অর্ধেক পুরসভা উঠে যাওয়ার মুখে। ৪৯৯৫ পুরসভায় লোকসংখ্যা ১ হাজারেরও কম। ৫০০ লোকেরও কম পুরসভা ২৬৫২, ১২০০ পুরসভায় লোক ১০০ জনেরও কম। গত অক্টোবরের সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, দক্ষিণ ইউরোপে স্পেনের দুটি বিরাট অংশ একেবারে জনশূন্য। মাদ্রিদ থেকে ক্যালোনিয়া আর মাদ্রিদ থেকে পর্তুগালের মধ্যে এই অংশ দুটি। হিসেব বলেছে, স্পেনের ৫৩ শতাংশ জায়াগায় বাস করেন ৫ শতাংশ মানুষ।
নগর সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, গত দশবছরে গ্রাম ছেড়ে আড়াই লাখ মানুষ হয় শহরে চলে গিয়েছে, নয়তো গিয়েছে সমুদ্রের ধারে। খালি হয়ে যাওয়া গ্রামগুলির বাসিন্দারা মাদ্রিদে এসে বিক্ষোভ জানিয়ে গিয়েছেন। কারণ গ্রামে আর আগেকার মতো সুযোগসুবিধা নেই। ব্যাঙ্ক নেই, দোকানপাট নেই, সপ্তাহে দুবার আসে রুটিওয়ালারা। তরুণ ডাক্তাররাও ভালো মাইনের জন্য চলে যাচ্ছেন শহরে। তাদের কথা, কম লোক মানে কম অধিকার, কম পরিকাঠামো নয়। ভোটের বাজারে গ্রামের দিকে নজর নেতাদের। ভোটের প্রচারে সবাই গ্রামদরদী। কেউ গরুকে পাশে নিয়ে, কেউবা বুলফাইটারকে পাশে নিয়ে ঘোড়ার পিঠে চেপে ছবি তুলে প্রচার চালাচ্ছেন। স্পেনের রাজাও চাইছেন, গ্রাম থেকে চলে যাওয়া ঠেকাতে বর্তমান প্রজন্মকে কৃষি, বনসৃজনে উৎসাহিত করা হোক।