জেনেভা: রাশিয়া হামলা চালিয়েছে ইউক্রেনে। ১৪ দিন কেটে গেলেও সেই যুদ্ধের ইতির কোনও ইঙ্গিত মিলছে না। বরং যত দিন এগোচ্ছে তত বেশি বাড়ছে হতাহতের আশঙ্কা। ইতিমধ্যেই ইউক্রেনের একাধিক শহর প্রায় ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। পরমাণু কেন্দ্র চলে গিয়েছে রাশিয়ার দখলে। সেখানে আবার মিসাইল হামলাও হয়েছে। অতিরিক্ত তেজস্ক্রিয় বেরিয়ে আবার একটা চেরনোবিল হওয়ার আশঙ্কা তো আছেই, একই সঙ্গে করোনার মতো ভয়ঙ্কর জীবাণু ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনাও প্রবল। এই তথ্য দিয়েই আশঙ্কা প্রকাশ করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। কিন্তু কীভাবে যুদ্ধক্ষত্র থেকে ছড়াবে জীবাণু?
আরও পড়ুন- শূকরের হৃদপিণ্ড প্রতিস্থাপন হয়েছিল, ২ মাস পর মৃত্যু ব্যক্তির
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানাচ্ছে, ইউক্রেনের যে পরীক্ষাগারে ক্ষতিকারক ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া রয়েছে সেখানে যদি কোনওভাবে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র বা বোমা পড়ে তাহলে ভয়ঙ্কর বিপদ ঘটে যেতে পারে। সেই জায়গা থেকেই গোটা বিশ্বজুড়ে আবার কোনও এক ভয়ঙ্কর জীবাণূ বা ব্যাকটেরিয়া ছড়াতে পারে বলে আশঙ্কা। আর তাই ইউক্রেন সরকারকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ পরীক্ষাগারগুলিতে থাকা ক্ষতিকারক জীবাণুগুলি যাতে ধ্বংস করে দেওয়া হয় এবং সেটা যেন দ্রুত করা হয়। কারণ যেভাবে রুশ বাহিনীর হামলা বাড়ছে এবং জায়গায় জায়গায় বোমাবর্ষণ হচ্ছে, তাতে বেশিদিন এই পরীক্ষাগারগুলি সুরক্ষিত নয় বলেই মনে করা হচ্ছে। আর একবার যদি এগুলিতে হামলা হয় তাহলে ভয়ঙ্কর বিপদের দিন আসতে পারে বলে সতর্কবাণী দিয়েছে তারা।
তবে আপাতত রাশিয়ার তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে, দ্রুত যুদ্ধে ইতি টানতে চায় তারা। তাই যুদ্ধ এখনই থামছে কিনা, তা নিয়ে সন্দিহান ওয়াকিবহাল মহল৷ প্রথমে মনে হয়েছিল খুব সহজেই কিয়েভ দখল করে নেবে রাশিয়া। কিন্তু কিয়েভ দখল ততটাও সহজ হয়নি৷ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পাল্টা আঘাত হেনেছে ইউক্রেনীয় সেনা। এমনকী দেশ বাঁচাতে হাতে অস্ত্র তুলে নিয়েছে সাধারণ নাগরিক৷ এখন টানা ১৪ দিন ধরে চলছে এই যুদ্ধ।