কাঁদলে ‘রক্ত’ ঝরে এই মূর্তির চোখ থেকে! আজও রহস্যে মোড়া ‘ভার্জিন অব দ্য মিস্টিক রোজ’

কাঁদলে ‘রক্ত’ ঝরে এই মূর্তির চোখ থেকে! আজও রহস্যে মোড়া ‘ভার্জিন অব দ্য মিস্টিক রোজ’

বুয়েনস আইরিস: এ এক অদ্ভূত রহস্য৷ যার কিনারা আজও মেলেনি৷ কোনও বৈজ্ঞানিক যুক্তি এই রহস্যের সমাধান করতে পারেনি৷ আজও কেউ জানেন না কেন কাঁদে এই মূর্তি!

আরও পড়ুন- ততদিন পর্যন্ত চুক্তি নয়, টুইটার নিয়ে পরাগকে কি চূড়ান্ত শর্ত দিলেন মাস্ক?

না, কোনও বুজরুকি নয়৷ ‘ভার্জিন অব দ্য মিস্টিক রোজ’ নামে এই আশ্চর্য মূর্তির দেখা মিলবে আর্জেন্টিনার উত্তর-পশ্চিমে মেটান শহরে৷ সেখানে ফ্রিয়াস পরিবারের বাড়িতে রয়েছে এই মূর্তি। প্রতিদিন এই মূর্তিটি দেখতে ফ্রিয়াস পরিবারে উপচে পড়ে মানুষের ভিড়৷ ২০১৭ সালের গোড়ার দিকে প্রথম এটি শিরোনাম উঠে আসে। এর বিশেষত্ব হল, এই মূর্তির চোখ দিয়ে সর্বদাই জল গড়িয়ে পড়ে৷ কিন্তু, এখানেও লুকিয়ে রয়েছে এক রহস্য৷ কাঁদার সময় জল নয়, এই মূর্তির চোখ দিয়ে ঝরে পড়ে লাল রঙের রক্ত৷ মূর্তির মালিক তথা ফ্রিয়াস পরিবারের প্রধান রোসানা মেন্ডোজা ফ্রিয়াস একদিন গোটা বিষয়টি রেকর্ড করেন৷ এবং তা স্থানীয় মানুষজনকে দেখান৷ এর পরেই ‘ভার্জিন অব দ্য মিস্টিক রোজ’-এ কথা লোক মুখে বহু দূর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে।

মূর্তি

রোসানার করা ওই ভিডিয়োটিতে দেখা গিয়েছে, মূর্তিটির চোখ থেকে বেরচ্ছে লাল তরল। শোনা যায় ২০১৭ সালের এপ্রিল মাসে নাকি প্রথম ‘রক্ত-কান্না’ শুরু করে এই মূর্তিটি৷ তার পর থেকে প্রায়ই মূর্তিকে কাঁদতে দেখা যায়। রোসানা মূর্তিটির ‘রক্ত অশ্রু’র ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করলেই ভিড় জমত তাঁর বাড়ির দোরগোড়ায়। রোসানা জানান, তাঁর মায়ের শারীরিক সুস্থতা কামনা করে ওই মূর্তিটির কাছে প্রার্থনা করেছিলেন তিনি৷ তার পরেও এক বার এই মূর্তিকে কাঁদতে দেখা গিয়েছিল। 

‘ভার্জিন অব দ্য মিস্টিক রোজ’-এর সঙ্গে বেশ কিছু অলৌকিক ঘটনাও জড়িয়ে রয়েছে। এক মহিলার দাবি, তাঁর শরীরে তিন ইঞ্চির একটি টিউমার ছিল। কিন্তু এই মূর্তিটির দেখা পাওয়ার পরই হঠাৎ করে টিউমারটি গায়েব হয়ে যায়৷ রোসানা কিন্তু সাধারণ মানুষের দর্শনের জন্য তাঁর বাড়ির দরজা সব সময়েই খোলা রাখেন৷ কিন্তু কেন এই মূর্তির চোখ দিয়ে রক্ত অশ্রু বেরয় তা আজও অজানা৷ 

statue

চার্চপপ নামক এক ওয়েবসাইটের মতে, সাধারণ মানুষকে চমকে দিতেই বিশেষ ভাবে এই মূর্তিটি তৈরি করা হয়েছে। মূর্তির মুখে ইচ্ছে করে রক্ত লাগিয়ে দেওয়া হত বলেও এই ওয়েবসাইটের অনুমান। যদিও ফ্রায়েস পরিবার সেই তত্ত্ব মানতে নারাজ৷ মূর্তিটিকে রক্ষা করতে কাচ দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে৷ এই কাচের ঘর তৈরির জন্য অর্থ সাহায্যও পান রোসানা।