জঙ্গিহানায় রক্তাক্ত ভিয়েনা, এক সন্ত্রাসবাদী সহ মৃত ৩

জঙ্গিহানায় রক্তাক্ত ভিয়েনা, এক সন্ত্রাসবাদী সহ মৃত ৩

ভিয়েনা: জঙ্গিহানায় রক্তাক্ত অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনা৷ শহরের ছটি ভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে গিয়ে হামলা চালাল বন্দুকধারীরা৷ জঙ্গিহানায় মৃত্যু হয়েছে দুই জনের৷ আহত কমপক্ষে ১৪৷ জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে প্রাণ হারিয়েছেন এক পুলিশ অফিসার৷ এই ঘটনাকে ‘ঘৃন্য সন্ত্রাসবাদী হানা’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন চ্যান্সেলর সেবাস্টিয়ান কুর্জ৷ 

আরও পড়ুন- কোয়ারেন্টাইনে WHO প্রধান টেড্রস অ্যাডহ্যানোম গ্যাব্রিয়েসাস

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন হামলাকারীদের হাতে ছিল অত্যাধুনিক বন্দুক৷ একটি বারের মধ্যে ঢুকে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে তারা৷ বেশ কয়েকজনকে তারা পণবন্দিও করে ফেলে। তবে কোভিড-১৯ সংক্রমণ রুখতে দেশজুড়ে লকডাউন চলছে অস্ট্রিয়ায়৷ যার জেরে মানুষের ভিড় কিছুটা হলেও কম ছিল৷ তবে স্থানীয় সংবাদসংস্থা স্পুটনিক জানিয়েছে, হামলাকারীরা প্রায় ৫০ রাউন্ড গুলি চালায়। পুলিশের সঙ্গে পরে গুলির লড়াইয়ে এক জঙ্গির মৃত্যু হয়। তার শরীরে বাঁধা ছিল বিস্ফোরক।

অন্যদিকে শহরের ফার্স্ট ডিস্ট্রিক্ট থেকেও হামলার খবর মিলেছে। সেখানেও জঙ্গি ও নিরাপত্তাবাহিনীর গুলির লড়াই চলছে। হামলার খবর মিলেছে শহরের অন্যান্য জায়গা থেকেও৷ অতর্কিত জঙ্গি হামলায় শহরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে৷ একাধিক ঐতিহাসিক কেন্দ্র সিল করে দিয়েছে পুলিশ৷ মানুষকে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে৷ অনেকে আবার হোটেল ও বারগুলিতে আশ্রয় নেয়৷ শহরে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়৷ সীমান্তবর্তী এলাকায় চলছে কড়া নজরদারি৷ সাম্প্রতিককালে অস্ট্রিয়ায় কোনও জঙ্গিহানা ঘটেনি৷ ফলে এই হামলার ঘটনায় উদ্বিগ্ন প্রশাসন৷ 

আরও পড়ুন- দ্বিতীয় লকডাউন ঘোষণার পথে প্রধানমন্ত্রী! আগামি সপ্তাহেই ‘ঘরবন্দি’!

এখনও এক হামলাকারীর খোঁজ তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ৷ ভিয়েনায় ইহুদিদের প্রধান প্রার্থনাকেন্দ্রের কাছে এই হামলা চালানো হলেও, তাদের আসল উদ্দেশ্য কী ছিল তা এখনও জানা যায়নি৷ শহরের প্রাণকেন্দ্রে একটি সিনাগগে ঢুকে এলোপাথারি গুলি চালায় হামলাকারীরা৷ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কার্ল নেহামার একটি সংবাদিক বৈঠকে বলেন,  বহু বছর পর এটি অস্ট্রিয়ার কাছে এক কঠিন দিন। ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানাই, বহু বছর অস্ট্রিয়াকে এই কঠিন পরিস্থিতি অনুভব করতে হয়নি।
 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *