আজ বিকেল: কথায় বলে না “রাখে হরি মারে কে”। এমনটাই ঘটল তুরস্কের ইস্তানবুলে। মা ব্যস্ত রান্নায়, বছর তিনেকের শিশুকন্যা শোবার ঘরের জানালা দিয়ে তখন বাইরের পৃথিবী দেখছে আর অবাক হচ্ছে। বহুতলের জানলার দিকে চোখ পড়তেই খুদেকে দেখতে পান স্থানীয় যুবক ফিউজি জাব্বাত। তিনি চেঁচিয়ে বাসিন্দাদের সাবধান করতে যাবেন এই বলে, যে বাচ্চাটি যেকোনও সময় পড়ে যেতে পারে। মুখের কথা মুখেই রয়ে গেল, তার আগেই জানালে থেকে সোজা নিচে পড়ছে একরত্তি, কিংকর্তব্য বিমূঢ় জাব্বাত মুহূর্তেই পড়ন্ত শিশুকে ক্যাচ লুফে নেন।
উল্লেখ্য, ওই যুবকের বুদ্ধির জোরেই জানালা গলে নিচে পড়তে পড়তে সুস্থভাবে বেঁচে যায় শিশুকন্যা। স্থানীয় সিসিটিভি ফুটেজে গোটা দৃশ্যটিই ধরা পড়েছে। এই ঘটনায় খুশি সকলে, যদিও এতবড় দুর্ঘটনাকে দুহাতে রুখেও বিশ্বাস করতে পারছেন না ওই যুবক। তিনি বাচ্চাটিকে লুফে নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আশপাশের পথচারী ও বাসিন্দারা ছুটে আসেন। শিশুটির অভিভাবককে খবর দেওয়া হয়। তারা সন্তানকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে সুস্থ বলে ছেড়ে দেন ডাক্তাররা। তবে জাব্বাতের কর্মকাণ্ডে অভিভূত ওই দম্পতি-সহ গোটা এলাকার বাসিন্দারা। এদিকে ক্যাচ লুফে নেওয়ার দৃশ্য সোশ্যাল মিডিয়া শেয়ার হতেই ভাইরাল। নেটিজেনরা জাব্বাতের প্রশংসায় পঞ্চমুখ।
জানা গিয়েছে, ঘটনাস্থলের কাছাকাছি এক কর্মশালায় কাজ করেন ১৭ বছরের যুবক ফিউজি জাব্বাত। তিনি ওই এলাকা থেকেই নিত্য যাতায়াত করে থাকেন। এদিন অত্যন্ত তৎপরতার সঙ্গে পড়ন্ত শিশুটিকে লুফে নেন তিনি। তাই তিনতলা থেকে পড়ে গিয়েও কোনও আঘাত লাগেনি বাচ্চাটির। সবার একটাই বক্তব্য জাব্বাত যদি ঘটনাস্থলে না থাকতেন, তাহলে কী ভীষণ বিপদ হতে পারত। এদিকে সুস্থ মেয়েকে ফিরে পেয়ে কান্না থামছে না মায়ের, তিনি বার বার ওই যুবককে ধন্যবাদ দিচ্ছেন।