কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই আসছে করোনার ভ্যাকসিন, প্রেসিডেন্সিয়াল ডিবেটে ঘোষণা ট্রাম্পের

ওয়াশিংটন: আমেরিকায় নির্বাচনের মাত্র ১২ দিন বাকি। আর এখনই একটি বড় ঘোষণা করলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। জানিয়েছেন আর কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই আমেরিকাবাসী করোনার ভ্যাকসিন পাবে। প্রেসিডেন্সিয়াল ডিবেটে এই কথা বলেছেন ট্রাম্প। তবে এই ঘোষণা সত্যিই নাকি শুধু ভোট টানা চেষ্টা তা জানতে করতে হবে অপেক্ষা।

 

ওয়াশিংটন: আমেরিকায় নির্বাচনের মাত্র ১২ দিন বাকি। আর এখনই একটি বড় ঘোষণা করলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। জানিয়েছেন আর কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই আমেরিকাবাসী করোনার ভ্যাকসিন পাবে। প্রেসিডেন্সিয়াল ডিবেটে এই কথা বলেছেন ট্রাম্প। তবে এই ঘোষণা সত্যিই নাকি শুধু ভোট টানা চেষ্টা তা জানতে করতে হবে অপেক্ষা।

করোনার প্রভাবে অন্যান্য দেশের তুলনায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অনেক বেশি লোক মারা গিয়েছে। ঘটনায় ট্রাম্প বলেন যে কোভিড-১৯ শীঘ্রই চিকিৎসার আওতায় এসে যাবে। এক্ষত্রে নিজের সুস্থতার দিকে ইঙ্গিত করেন ট্রাম্প। প্রেসিডেন্সিয়াল ডিবেটে করোনা ভাইরাস নিয়ে জো বিডেন বলেন, “২ লক্ষ ২০ হাজার আমেরিকান মারা গিয়েছেন। আপনি কিছু না শুনে থাকেন তবে আমি বলছি শুনুন। যে এই বহু মৃত্যুর জন্য দায়ী সে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি হিসাবে থাকতে পারে না। আমরা একটি অন্ধকার শীতে যেতে চলেছি এবং তার কোনও পরিকল্পনা নেই।” এরপরই ট্রাম্প উত্তর দেন, “আমরা টার্ন ঘুরিয়ে ফেলেছি। কাজ চলছে। আমাদের কাছে একটি ভ্যাকসিন আসছে। সেটি প্রস্তুতও। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে তার ঘোষণা করা হবে।”

ডিবেটে বিডেন নেতৃত্ব বজায় রাখতে চাইছিলেন স্বাভাবিকভাবেই। তিনি বলেন, শীত আসার সঙ্গে সঙ্গেই দেশজুড়ে করোনার প্রাদুর্ভাব দ্রুত বেড়ে যাবে। কুইনিপিয়াক ইউনিভার্সিটির এক সমীক্ষায় বৃহস্পতিবার দেখা গিয়েছে যে ১০ জনের মধ্যে প্রায় ছয় জন মনে করেন করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছে। বিতর্কের প্রথম দিকে ট্রাম্পের আচরণ বদলে যায়। কিন্তু তিনি শীঘ্রই নিজেকে সামলে নেন। চার বছর আগে হিলারি ক্লিনটনের বিরুদ্ধে তিনি যে কৌশল ব্যবহার করেছিলেন তা তুলে আনেন। ট্রাম্প বলেন যে বারাক ওবামার অধীনে ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব পালনকালে বিডেন তাঁর ছেলে হান্টারের সঙ্গে জড়িত দুর্নীতির ব্যবসায়িক সম্পর্ক থেকে লাভ করেছিলেন। প্রায় ৪৫ মিলিয়ন আমেরিকান প্রাথমিক ভোটদানের ক্ষেত্রে এক অভূতপূর্ব ওয়েভ দেখা দিয়েছে। সমীক্ষায় বিডেন ক্রমাগত এগিয়ে থাকছেন। কুইনিপিয়াক ইউনিভার্সিটির সমীক্ষায় তিনি ট্রাম্পের মার্কস ৪১ শতাংশ। সেখানে বিজেন ৫১ শতাংশে দাঁড়িয়ে রয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *