নিউ ইয়র্ক: মহাকাশে লুকিয়ে রয়েছে কত অজানা রহস্য৷ চাঁদ-তারার পরিবার নিয়ে কৌতুহলের শেষ নেই৷ তেমনই অনেক প্রশ্ন ঘুরপাক খায় চাঁদের কলঙ্ক ঘিরে৷ কোনও দিনও ভেবে দেখেছেন কোন পাথরের জন্য এমন সাদা-কালো ছোপে কলঙ্কিত চাঁদ? এর উত্তর নিয়ে হাজির ইউএসজিএস৷
বিস্তীর্ণ ভূতাত্ত্বিক মানচিত্রের মাধ্যমে পৃথিবীর নিকটতম প্রতিবেশী চাঁদের ৪.৫ বিলয়ন বছর পুরনো ইতিহাস তুলে ধরল ইউএসজিএস৷ অ্যানিমেশনের মাধ্যমে তুলে ধরা হল চন্দ্রপৃষ্ঠের ছবি৷ নাসা এবং লুনার প্ল্যানেটারি ইনস্টিটিউটের সঙ্গে যৌথভাবে এই মানচিত্র তৈরি করেছে ইউএসজিএস৷ চাঁদের এই মানচিত্রটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘ইউনিফায়েড জিওলজিক ম্যাপ অফ মুন’৷ এই মানচিত্র ভবিষ্যতে মানব মিশনের জন্য চাঁদের পৃষ্ঠদেশের চূড়ান্ত নীলনকশা হিসাবে কাজ করবে৷ পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বিজ্ঞানীমহল, শিক্ষাবিদ এবং জনসাধারণের জন্য এটি একটি অমূল্য সম্পদ৷ এই ডিজিটাল মানচিত্র অনলাইনেও দেখা যাচ্ছে৷ সঙ্গে রয়েছে চাঁদের ভূপৃষ্ঠের বিস্তারিত বর্ণনা৷
নাসার প্রাক্তন মহাকাশচারী এবং ইউএসজিসি’র ডিরেক্টর জিম রিলি বলেন, ‘‘চাঁদের রূপে মুদ্ধ সাধারণ মানুষ৷ তাঁদের কাছে এই মানচিত্র খুবই আকর্ষণীয় হবে৷’’ ইউএসজিএস এমন একটি সম্পদ তৈরি করেছে যা পরবর্তীকালে কাজে আসবে নাসার৷ ছ’টি অ্যাপেলো যুগের আঞ্চলিক মানচিত্র এবং সাম্প্রতিক স্যাটেলাইট থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতেই এই ডিজিটাল মানচিত্র তৈরি করা হয়েছে৷ পুরনো মানচিত্রগুলির সঙ্গে মেলানো হয়েছে আধুনিক ডাটাগুলিকে৷ নতুন এবং পুরনো তথ্যগুলি মেলানোর পাশাপাশি ইউএসজিএস-এর গবেষকরা চাঁদের শিলার স্তরগুলি সম্পর্কেও তথ্য দিয়েছে৷ পুরনো মানচিত্রে শিলার নাম, বিবরণ ও বয়স সম্পর্কে কিছু অসঙ্গতি ছিল৷ নয়া মানচিত্রে তা সংশোধিত হয়েছে৷ এই মানচিত্রের সঙ্গে দীর্ঘদিনের প্রকল্পে ইতি পড়ল বলে জানালেন ইউএসজিএস-এর ভূবিজ্ঞানী কোরে ফর্তেজো৷