কাবুল: কিছুদিন আগেই আত্মঘাতী জঙ্গি হামলা হয়েছিল কাবুল বিমানবন্দরে। নিহত হয়েছিল একাধিক মার্কিন সেনা। সেই প্রেক্ষিতে বিবৃতি দিতে গিয়ে কেঁদে ফেলেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং একই সঙ্গে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, যে ঘটনা ঘটানো হয়েছে তার মূল্য চোকাতে হবে। সেই হুঁশিয়ারি এবার বাস্তবায়িত করল আমেরিকা। আফগানিস্তানের আইএস জঙ্গি ঘাঁটি উড়িয়ে দেওয়া হল ড্রোন স্ট্রাইকে!
আরও পড়ুন- পাকিস্তান আমাদের ‘দ্বিতীয় ঘর’! খোলাখুলি ঘোষণা তালিবানের
পেন্টাগন সূত্রে খবর, মার্কিন সেনা আফগানিস্তানে অবস্থিত আইএস খোরাসান জঙ্গিগোষ্ঠীর ঘাঁটিতে ড্রোন স্ট্রাইক করেছে। হামলায় গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ওই জঙ্গি সংগঠনের গোপন আস্তানা। এই প্রেক্ষিতে মার্কিন সেনার তরফে জানানো হয়েছে, আফগানিস্তানের নানগর প্রদেশে অভিযান চালানো হয়েছিল এবং এই হামলায় জঙ্গিদের আস্তানা একেবারে ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। যদিও সাধারণ কোনো মানুষের ক্ষতি হয়নি বলে নিশ্চিত করেছে পেন্টাগন। কাবুল বিমানবন্দরে যে জোড়া বিস্ফোরণ হয়েছিল তার দায় স্বীকার করেছিল আইএএস। সেই হামলার প্রেক্ষিতেই আমেরিকা যে হুঁশিয়ারি দিয়েছিল তা মাত্র কয়েকদিনের মধ্যেই কাজে করে দেখাল। ইতিমধ্যেই আইএস আবারও হামলা চালাতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছিল। সেই প্রেক্ষিতে মার্কিন নাগরিকদের কাবুল বিমানবন্দর এড়িয়ে যাওয়ার সতর্ক বার্তা দিয়েছিল কাবুলে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস। মূলত বিমান বন্দরের অ্যাবে গেট, পূর্ব ও উত্তর গেট এড়িয়ে যেতে বলা হয়েছিল। প্রসঙ্গত, কাবুল বিমানবন্দরে হামলার পর থেকে এখনও পর্যন্ত ৪২০০ জন মানুষকে সরিয়েছে আমেরিকা।
President Joe Biden: “To those who carried out this attack, as well as anyone who wishes America harm, know this: We will not forgive. We will not forget. We will hunt you down and make you pay.” pic.twitter.com/OhbwCiJtAa
— USA TODAY (@USATODAY) August 26, 2021
কাবুল বিমানবন্দরের জোড়া বিস্ফোরণের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়েছিলেন, ‘‘যারা এই হামলা চালিয়েছে, আমরা তাদের ক্ষমা করব না৷ আমরা ভুলব না৷ তাদের খুঁজে বার করবই৷ এর মূল্য তাদের চোকাতেই হবে৷’’ সেই সঙ্গে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন নাগরিকদের উদ্ধার করা নিয়েও বার্তা দেন তিনি৷ এই ঘটনার কথা বলতে গিয়ে গলা ধরে আসে তাঁর৷ মঞ্চে দাঁড়িয়েই কেঁদে ফেলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন৷ উল্লেখ্য, কাবুল বিমানবন্দরে আত্মঘাতী হামলায় এখনও মৃত ৮০ জন। গুরুতর জখম ১৪৩।