ওয়াশিংটন: করোনা পরিস্থিতির জন্য এর আগেই চিনের দিকে আঙুল তুলেছে আমেরিকা। মার্কিন সচিব মাইক পম্পেও অভিযোগ তুলেছিলেন, সারা বিশ্বে করোনার ঝুঁকি বাড়িয়েছে খোদ চিন সরকারই। এবার ধর্মগুরু দলাই লামা স্বীকৃত পাঞ্চেন লামা, যাঁকে ২৫ বছর আগে চিন সরকার আটক করেছিল, তিনি এখন কোথায় আছেন, পম্পেও সেই প্রশ্ন তোলেন। এর আগে মার্কিন রাষ্ট্রদূত স্যাম ব্রাউনব্যাকও একই অভিযোগ তুলেছেন চিনের বিরুদ্ধে।
১৯৮৯ সাল। রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয় তিব্বতের বৌদ্ধদের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ গুরু পাঞ্চেন লামা। যাঁকে চিন বিষপ্রয়োগে হত্যা করেছিল বলে অনেকেই অভিযোগ করেন। তিব্বতের বৌদ্ধধর্মাবলম্বীরা পুনর্জন্মে বিশ্বাস করেন। সাল ১৯৯৫। গিনডু চোকি নামা নামে এক ৬ বছরের শিশুকে পাঞ্চেন লামা বলে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন ধর্মগুরু দলাই লামা। এরপরই ১৭ মে চিন তাকে আটক করেছিল বলে জানা যায়। যদিও চিন সরকার তা অস্বীকার করেছে। সেই প্রসঙ্গে তুলেই পাঞ্চেন লামাকে জনসমক্ষে এনে তাঁর অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার কথা গত সোমবার বলেছেন মাইক পম্পেও।
অন্যদিকে গত বৃহস্পতিবার সেই দেশের রাষ্ট্রদূত স্যাম ব্রাউনব্যাক জানিয়েছেন, 'পাঞ্চেন লামা এই মুহূরতে কোথায় রয়েছেন, সেই বিষয়ে আমাদের কোনও ধারণা নেই। তবে তাঁর মুক্তির জন্য চিন সরকারের উপর ক্রমাগত চাপ সৃষ্টি করে যাব আমরা।' যদিও এই বিষয়ে মুখ খুলছে না চিনের কমিউনিস্ট দল। তাঁর কথায়, 'আসলে পরবর্তী দলাই লামা কে হবেন, তা ঠিক করার অধিকারও চিন নিজেদের হাতে রাখতে চায়।' এর বহু আগে ব্রিটিশ বিদেশমন্ত্রী রবিন কুক বলেছিলেন, 'যতবার আমরা গিনডু চোকি নিমার প্রসঙ্গে কোনও প্রশ্ন তুলেছি, চিন সরকার ততবারই আমাদের জানিয়েছে, তিনি সুস্থ রয়েছেন এবং তাঁর যত্ন নেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি তাঁর পরিবার যে এই বিষয়ে আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপ চান না, সেই দাবিও করেছে চিন।'