ভারতে আরও ৬টি পরমাণু চুল্লি বসাবে আমেরিকার, পরমাণু চুক্তি সাক্ষর

ওয়াশিংটন: পরমাণু বিদ্যুৎ উৎপাদনে আমেরিকা সঙ্গে সহযোগিতা চুক্তির গিঁট খুলল ভারত৷ দু’দেশের সম্পর্ককে আরও মজবুত করতে ভারতে আরও ৬টি পরমাণু চুল্লি বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে আমেরিকার। কারণ দীর্ঘ ছ’বছর ধরে অসমারিক পরমাণু চুক্তি নিয়ে ভারতের সঙ্গে আমেরিকার যে জটিলতা তৈরি হয়েছিল তা কার্যত শেষ হলো বলেই মনে করা হচ্ছে৷ হোয়াইট হাউসে মার্কিন মার্কিন অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ ও আন্তর্জাতিক

ভারতে আরও ৬টি পরমাণু চুল্লি বসাবে আমেরিকার, পরমাণু চুক্তি সাক্ষর

ওয়াশিংটন: পরমাণু বিদ্যুৎ উৎপাদনে আমেরিকা সঙ্গে সহযোগিতা চুক্তির গিঁট খুলল ভারত৷ দু’দেশের সম্পর্ককে আরও মজবুত করতে ভারতে আরও ৬টি পরমাণু চুল্লি বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে আমেরিকার।

কারণ দীর্ঘ ছ’বছর ধরে অসমারিক পরমাণু চুক্তি নিয়ে ভারতের সঙ্গে আমেরিকার যে জটিলতা তৈরি হয়েছিল তা কার্যত শেষ হলো বলেই মনে করা হচ্ছে৷ হোয়াইট হাউসে মার্কিন মার্কিন অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তাবিষয়ক সহকারী আন্দ্রে থম্পসনের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি, প্রতিরক্ষা-সহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে দীর্ঘ ক্ষণ বৈঠক করেন ভারতের বিদেশ সচিব বিজয়কেশব গোখলে। বৈঠক শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে যৌথ বিবৃতিতে জানানো হয়, অসামরিক পরমাণু চুক্তি দু’দেশের সম্পর্ককে আরও মজবুত করবে। ভারতে ছ’টি পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি করতে চলেছে আমেরিকা।

২০০৮ সালে অসামরিক পরমাণু বিষয়ে ভারত-মার্কিন দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। কিন্তু ২০১০ সালে পরমাণু দায়বদ্ধতা আইনের জটে গোটা বিষয়টিই থমকে যায়। ভারতীয় আইন অনুযায়ী, দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ দায় তিরিশ কোটি মার্কিন ডলার আর চুল্লি যারা চালাবে, তাদের দায় ১৫০০ কোটি টাকা। ভারতে পরমাণু চুল্লি চালানোর সংস্থাটি হল নিউক্লিয়ার পাওয়ার কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া লিমিটেড (এনপিসিআইএল), যা পরমাণু শক্তি দফতরের অধীনস্থ। ২০১০ সালে প্রণীত আইনে দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে দায় চাপানোর ব্যাপারে বাছবিচার করা হয়নি। চুল্লি প্রস্তুতকারী সংস্থা যদি ভারতীয়ও হয়, তা হলেও দায়ভার তাদের।তাতে বিদেশি কোম্পানিগুলো দেখে, ভারতীয় আইন তাদের পক্ষে বিপজ্জনক। নতুন পরমাণু চুল্লি তো বটেই, এমনকী পুরনোগুলোর যন্ত্রাংশ বিক্রির ব্যাপারে দেশি এবং বিদেশি কোম্পানিগুলো বেঁকে বসছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *