ওয়াশিংটন: সন্ত্রাস দমনের জন্য বারবার কড়া বার্তা দেওয়া হলেও, এখনও সন্ত্রাসবাদীদের স্বর্গরাজ্য পাকিস্তান৷ জঙ্গি দমনে তেমন কোনও পদক্ষেপই করেনি ইসলামাবাদ৷ পাকিস্তান যে সন্ত্রাসের আঁতুর ঘর, তা আরও একবার প্রমাণিত হল ওয়াশিংটনের বার্ষিক সন্ত্রাসবাদী রিপোর্টে৷ ‘কান্ট্রি রিপোর্ট অন টেররিজম ২০১৯’ অনুযায়ী, সন্ত্রাসদমনে প্রায় কিছুই করেনি পাকিস্তান৷ বিশেষ করে ভারত বিরোধী জঙ্গি গোষ্ঠী এবং হাক্কানি নেটওয়ার্ক এ দেশে অবাধ৷
ওয়াশিংটনের রিপোর্টে যা বলা হয়েছে- স্থানীয় সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলির কাছে পাকিস্তান এখনও স্বর্গরাজ্য৷ আফগানিস্তান বিরোধী জঙ্গি সংগঠন আফগান তালিবান এবং ভারতের উপর বারবার হামলা চালানো লস্কর-ই-তৈবা ও জয়েশ-ই-মহম্মদ পাকিস্তানের মাটি আকড়েই নাশকতা চালিয়ে যাচ্ছে৷ পাকিস্তানের নিরাপদ আশ্রয়েই রয়েছে তারা৷
এই জঙ্গিগোষ্ঠী দমনে পাকিস্তানের কোনও সদর্থক ভূমিকা চোখে পড়েনি৷ লস্কর-ই তালিবান পাকিস্তান, জয়েশ-ই মহম্মদ, লস্কর-ই-তাইবা, আইএসআইএস-কে এবং বালোচিস্তান লিবারেশন আর্মির মতো জঙ্গি গোষ্ঠীগুলির বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করলেও, বাকি জঙ্গি গোষ্ঠীর জন্য নিরাপদ আশ্রয় পাকিস্তান৷ গত ১১ ডিসেম্বর লস্কর-ই-তৈবার সহ প্রতিষ্ঠাতা হাফিজ সইদ এবং তাঁর দলের আরও ১২ সদস্যকে অভিযুক্ত করে পাকিস্তান৷ তবে জয়েশ-ই মহম্মদের মাথা মাসুদ আজাহার কিংবা ২০০৮ সালে মুম্বই নাশকতার মাস্টারমাইন্ড লস্কর-ই-তৈবার সাজিদ মীরের মতো সন্ত্রাসবাদীদের বিচারের কোনও উদ্যোগই নেয়নি ইসলামাবাদ৷ পাক সরকার অস্বীকার করলেও, এই দুই সন্ত্রাসবাদী পাকিস্তানেই নিরাপদ আশ্রয়ে রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে৷
সারা বিশ্বে চলা সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের উপর নজরদারি চালানো সংস্থা ফাইনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স (FATF)-এর কালো তালিকা ভুক্ত হওয়া থেকে বাঁচতে ২০১৯ সালে বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছিল পাকিস্তান৷ কিন্তু তা আর সম্পন্ন হয়নি৷ জঙ্গিদের আর্থিক সহায়তা বন্ধ করতে পাকিস্তানের ব্যর্থতার জন্য ইমরান খানের দেশকে ‘ধূসর তালিকা’তেই রেখে দিয়েছে FATF৷ অভিযোগ, এখনও লস্কর-ই-তৈবা এবং জয়েশ-ই-মহম্মদকে আর্থিক মদত জুগেয়ি চলেছে পাকিস্তান৷