ওয়াশিংটন: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬ তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছেন জো বাইডেন। নভেম্বরের নির্বাচনে তাঁর জয়ের পর থেকে এই দিনটার জন্য অপেক্ষা করেছিলেন অধিকাংশ আমেরিকাবাসী জনগণ। নতুন প্রেসিডেন্টের হাত ধরে নতুন দিনের পথে পা বাড়ানোর স্বপ্ন দেখছিলেন তাঁরা। প্রত্যাশা মতোই ক্ষমতায় আসার প্রথম দিনেই মানুষের জন্য কাজ শুরু করলেন জো বাইডেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে প্রথম দিনেই হোয়াইট হাউসের মসনদে বসে পূর্ববর্তী প্রেসিডেন্টের নীতিতে একগুচ্ছ বদল এনেছেন জো বাইডেন। জানা গেছে, প্রথম দিন ১৫টি নতুন নির্দেশপত্রে স্বাক্ষর করেছেন তিনি। ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিদেশনীতি এবং জাতীয় নিরাপত্তামূলক একাধিক নিয়মকানুনে আনা হয়েছে পরিবর্তন। অর্থাৎ ক্ষমতায় থাকাকালীন তিনি যে রিপাবলিকান ট্রাম্পের অনুসৃত পথের উল্টোদিকেই হাঁটবেন প্রথম দিন থেকেই সেই ইঙ্গিত স্পষ্ট করে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
ট্রাম্পের কোন কোন নীতিতে প্রথম দিনেই বদল আনলেন বাইডেন? হোয়াইট হাউস সূত্রের খবর, আবহাওয়ার পরিবর্তন সম্বন্ধীয় প্যারিস চুক্তির পুনঃপ্রবর্তন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে আমেরিকাকে সরিয়ে আনার সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে এদিন স্বাক্ষর করেছেন তিনি। মেক্সিকো বর্ডারের দেওয়াল নির্মাণ বন্ধ এবং মুসলিম যাত্রার বিধিনিষেধও তুলে নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। সব মিলিয়ে, বিভেদ বিচ্ছিন্নতা মতপার্থক্য ভুলে একসাথে এগিয়ে যাওয়ার বার্তাই ছিল বাইডেনের প্রথম দিনের কাজে।
বুধবার সাংবাদিকদের সামনে এসে জো বাইডেন বলেন, “আমেরিকাবাসীর কাছে আমি যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছি, তা পূরণ করবই। আজকের পদক্ষেপ গুলি নিয়ে আমি গর্বিত। তবে এগুলো শুধুই পদক্ষেপ মাত্র। এখনও লম্বা রাস্তা চলতে হবে।” সপ্তাহের বাকি দিন গুলিতেও আরো অনেক নির্দেশ পত্রে স্বাক্ষর করবেন বলে জানিয়েছেন জো বাইডেন। “করোনা আবহে বিশ্ব জুড়ে যে আর্থিক মন্দার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, সপ্তাহের বাকি দিন গুলিতে তার দিকে আমার নজর থাকবে”, বলেন তিনি। শুধু তাই নয়, সম্প্রতি বর্ণবৈষম্য নিয়ে যে বিতর্ক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মাথা চারা দিয়ে উঠেছে তার বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই করোনা মোকাবিলায় আমেরিকাবাসীকে টানা ১০০ দিনের জন্য মাস্ক পড়ে থাকার আবেদন জানিয়েছেন জো বাইডেন।