করোনা ভাইরাস মানুষের তৈরি নয়, চাঞ্চল্যকর দাবি খোদ মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার

করোনা ভাইরাস মানুষের তৈরি নয়, চাঞ্চল্যকর দাবি খোদ মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার

ওয়াশিংটন: চীনকে নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের যাবতীয় জল্পনায় জোর ধাক্কা।  ট্রাম্প প্রশাসনের প্রবল চাপের মুখেও খোদ মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টে উল্লেখ করা হল যে করোনা ভাইরাস সম্পূর্ণভাবে প্রাকৃতিক এবং কোনোভাবেই মানুষের তৈরী বা গঠিত নয়। কিন্তু এতদিন এই ভাইরাস চীনের ল্যাবে তৈরী হয়েছে বলে ট্রাম্প যেভাবে জোর দিয়ে বলতে শুরু করেছিলেন তাঁর সেই দাবিকে মাথায় রেখেই দাবির পক্ষে প্রমান জোগাড় করতে উঠে পড়ে লেগেছিলো মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা।

সেখান থেকেই  এই তথ্য বেরিয়ে এলো। অথচ আগেও সার্স কোভ-২ বা নোভেল করোনা ভাইরাস নিয়ে এতদিন ধরে গবেষণা চালিয় ইতিমধ্যেই বহুবার এই দাবি করেছেন একাধিক গবেষক। এমনকি তাঁরা এও দাবি করেন যে এই ভাইরাস যে গবেষণাগারে তৈরী তার কোনও তথ্যপ্রমান নেই। বৃহস্পতিবার, সেই দাবিই আরও জোরালো হল। যদিও অফিস অফ দ্য ডাইরেক্টর অফ ইন্টেলিজেন্স (ওডিএনআই)এর রিপোর্ট সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না বলেই সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে দাবি করেছেন ট্রাম্প। এদিকে চাপের মুখে গোয়েন্দারা এও জানিয়েছেন, যে চীনে সংক্রামিত প্রাণীর সংস্পর্শের মাধ্যমে এই প্রাদুর্ভাব শুরু হয়েছিল, নাকি উহানের পরীক্ষাগার থেকেই দুর্ঘটনার বশতঃ এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে তা নির্ধারণ করতে পর্যাপ্ত তথ্য সন্ধান এবং কঠোরভাবে বুদ্ধি প্রয়োগ করে যাবেন। 

সম্প্রতি কয়েকজন গোয়েন্দা বিশ্লেষকও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের চাপ ভাইরাস সম্পর্কে মূল্যায়নকে বিকৃত করে দেবে এবং তা এমন একটি রোগের ক্ষেত্রে চীনের বিরুদ্ধে এক তীব্র লড়াইয়ে রাজনৈতিক অস্ত্র হিসাবে ব্যবহৃত হতে পারে যা সারা বিশ্বে ত্রিশ মিলিয়নেরও বেশি লোককে সংক্রামিত করেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট তো একপ্রকার নিশ্চিত যে চীন পুরো বিষয়টি গোপন করে যাচ্ছে। এর জন্য রীতিমতো হুমকিও দিয়েছেন। হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, “আমাদের উপর হামলা করা হয়েছে। এটা একটা হামলা। শুধুমাত্র একটা ফ্লু নয়। ১৯১৭ সালের পরে এই ছবি আর কেউ দেখেনি৷”

তাই এখন মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার কথাতেও কর্নপাত করতে রাজী নন ট্রা্ম্প। বরং আরও বেশী সুর চড়িয়ে তাঁর দাবি এবিষয়ে তার ভয়ঙ্কর আস্থা আছে। তিনি আরো বলেন নতুন করোনা ভাইরাসের উৎপত্তি নিয়ে তিন-চার প্রকার ধারণা আছে।প্রসঙ্গত, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই ভাইরাস বাদুড় বাহিত বলে জানিয়েছিল। একাধিক গবেষকের দাবি এই ভাইরাস বিশেষ প্রজাতির বাদুড় 'হর্সশু ব্যাটে'র মধ্যে পাওয়া গেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *