ওয়াশিংটন: করোনাভাইরাস দ্বিতীয় ঢেউয়ে ভারতের অবস্থা অনেক বেশি কঠিন হয়ে পড়েছে আগের থেকে। এই সময় আবার দেশে অপর্যাপ্ত টিকা রয়েছে বলে খবর উঠেছে। রেকর্ড হারে সংক্রমণ বৃদ্ধি পেলেও সেই কারণে দেশের টিকাকরণ তুলনায় কম হচ্ছে। এই সমস্যার কারণ হিসেবে উঠে আসছে ভারতে টিকা তৈরির কাঁচামাল রফতানিতে আমেরিকার বিধিনিষেধের ব্যাপার। যদিও আমেরিকা স্পষ্ট জানিয়েছে, অগ্রাধিকার পাবে আমেরিকাবাসী তারপর অন্য দেশের জন্য ভাববে তারা। যদিও করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে আমেরিকা প্রশাসন ভারতের পাশে রয়েছে বলেই জানানো হয়েছে।
আমেরিকার টিকার কাঁচামাল রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এই প্রেক্ষিতে সিরাম ইনস্টিটিউটের সিইও আদার পুনাওয়ালা আমেরিকা প্রশাসনের কাছে আর্জি জানিয়ে ছিলেন যাতে রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় তারা। যদিও আমেরিকা জানিয়েছে, প্রথমে দেশের সকলকে টিকা দেওয়া হবে তারপর অন্য দেশকে নিয়ে ভাববে তারা। জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই আমেরিকার প্রত্যেককে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্র নেওয়া হয়েছে। তাই টিকার কাঁচামালের রফতানি উঠতে উঠতে এখনো তিন মাস বলে মনে করা হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই আমেরিকার এই পদক্ষেপ ভারতের জন্য চিন্তা বাড়িয়েছে। গোটা বিষয় নিয়ে ইতিমধ্যেই আমেরিকান প্রশাসন এবং ভারতের প্রশাসনের মধ্যে কথা হয়েছে। স্পষ্ট ভাবে জানানো হয়েছে ভারতের করোনাভাইরাস পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে তাদের পাশে রয়েছে আমেরিকার বাইডেন প্রশাসন। তবে এই মুহূর্তে টিকার কাঁচামাল সম্পর্কিত বিষয়ে পদক্ষেপ করার কিছু নেই বলে স্পষ্ট করা হয়েছে।
ভারতের চিন্তা বাড়লেও আমেরিকা মনে করছে তারা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাতে লাভ হবে গোটা বিশ্বের। কারণ গত বছর থেকে শুরু করে এখনো পর্যন্ত করোনাভাইরাসে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আমেরিকা। তাই সেই দেশের সকলকে যদি টিকা দেওয়া সম্ভব হয় সবচেয়ে আগে, তাহলে নতুন কোনো করোনাভাইরাস প্রজাতির ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা অনেক কমে যাবে। সেক্ষেত্রে উপকৃত হবে ভারতসহ বিশ্বের একাধিক দেশ বলে মত তাদের। এদিকে, ভারতের টিকা তৈরির ক্ষেত্রে যাতে কোনো সমস্যা না হয় সেই ব্যাপারে আমেরিকা নজর দেবে বলেও আশ্বস্ত করা হয়েছে।