নয়াদিল্লি: ব্রিটেনের পর আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডায় শুরু হতে চলেছে ফাইজার-বায়োনেটেক করোনা ভ্যাকসিনের ডোজ দেওয়ার কাজ। বিশ্বের এই দুটি দেশ স্বাস্থ্যকর্মী এবং প্রবীণ নাগরিকদের জন্য ফাইজার করোনা ভাইরাস ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য প্রশাসনিক প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে। এদিকে, ভারত সরকার রাষ্ট্রসংঘকে ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে যে করোনা মোকাবেলায় ভারতের ভ্যাকসিন উৎপাদন ও বিতরণ ক্ষমতা বিশ্বকে বড়সড় সাহায্য করবে। এর ফলে অন্যান্য দেশগুলিও উপকৃত হবে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার প্রশাসন ফাইজার ভ্যাকসিনেশন শুরু করেছে। আমেরিকাতে প্রথম করোনা ভাইরাস ভ্যাকসিন গ্রহণ করেন নিউ ইয়র্কের এক নার্স। ফাইজারের তৈরি ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছেন তিনি। ইতিমধ্যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কোভিড-১৯ এর মৃত্যু ৩ লক্ষ ছাড়িয়েছে। কানাডাও কোণঠাসা হয়ে গিয়েছে। তার স্বাস্থ্যকর্মী এবং হোম কেয়ারে বসবাসকারী প্রবীণ নাগরিকদের টিকা দেওয়ার কাজ শুরু করেছে। কয়েক মাস ধরে করোনা রোগীর চিকিৎসা করার পর নার্স স্যান্ড্রা লিন্ডসে সোমবার ফাইজার ভ্যাকসিন নিয়ে ইনোকুলেশন করেন। সানড্রায় এই ভ্যাকসিনটি চালিত হওয়ার সময় গভর্নর সহ অনেকেই তাঁকে উৎসাহিত করেছিলেন।
লস অ্যাঞ্জেলেস সহ দেশের অন্যান্য শহরগুলিতে হাসপাতালে এমনই দৃশ্য দেখা গিয়েছে। যেখানে লাইভ টেলিভিশনে ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর জরুরি কক্ষে নার্সদের টিকা দেওয়ার জন্য প্রশংসা করেছিলেন। কানাডাতেও প্রথম করোনা ভাইরাস ভ্যাকসিন ডোজ সরবরাহ সরাসরি টিভিতে সম্প্রচারিত হয়। টোরন্টোর প্রবীণদের জন্য একটি অলাভজনক নার্সিং হোমের ব্যক্তিগত সহায়তা কর্মী অনিতা কুইডেনজেন প্রথম ডোজ নেন।
UNGA-র এক বিশেষ অধিবেশনে বিদেশ মন্ত্রকের সচিব বিকাশ স্বরূপ বলেন, এই সংকটের সময়ে ভারতে ভ্যাকসিন উৎপাদন ও সরবরাহের ক্ষমতা মানবিকতার জন্য ব্যবহৃত হবে। ভারত ভ্যাকসিন সরবরাহের জন্য সমস্ত দেশকে তাদের কোল্ড চেইন এবং স্টোরেজ ক্ষমতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে সহায়তা করবে। স্বাস্থ্য সুরক্ষা সরবরাহকারী হিসাবে ভারত আত্মপ্রকাশ করেছে এবং বিশ্বের ফার্মাসি হিসাবে এই দেশ সাফল্যের সঙ্গে তার দায়িত্ব পালন করবে বলেও জানান তিনি। তিনি আরও বলেন, প্রায় দেড়শো অংশীদার দেশগুলিতে ওষুধ এবং চিকিৎসা সরবরাহের সামগ্রী পাঠিয়েছে ভারত।