নিউ ইয়র্ক: সস্তার জ্বালানি হলেও, ভারতকে কয়লার ব্যবহার সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করার আহ্বান জানালেন রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব আন্তোনিয়ো গুতেরেস। শুক্রবার একটি ভার্চুয়াল বৈঠকে গুতেরেস বলেন, ভারতের উচিত অবিলম্বে কয়লার ব্যবহার বন্ধ করা৷ এই বছরের পরে ভারতের আর কয়লা চালিত তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করা উচিত নয় বলেই মন্তব্য করেছেন তিনি৷ তিনি মনে করেন, জৈব জ্বালানিতে ভর্তুকি বন্ধ করা উচিত৷ রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব বলেন, করোনা অতিমারির সঙ্কট থেকে উঠে দাঁড়িয়ে এবার বিশ্ব পরিবেশ নিয়ে চিন্তা করতে হবে৷
আরও পড়ুন- সাথ দিচ্ছে না শরীর, জাপানে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন শিনজো আবে
আন্তোনিয়ো গুতেরেস বলেন, ‘‘কয়লাকে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ব্যবহার করার দিন ফুরিয়ে গিয়েছে৷ কয়লার বাণিজ্য ধোঁয়ার গিয়ে শেষ হয়৷ ’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে যে যুদ্ধ শুরু হয়েছে, তাতে সারা বিশ্বে প্রধান শক্তি হয়ে উঠতে পারে ভারত৷ তবে এর জন্য জৈব জ্বালানির ব্যবহার বন্ধ করে পুনর্নবীকরণ শক্তির ব্যবহার শুরু করতে হবে৷ পুনর্নবীকরণ শক্তির দাম হ্রাস পেলেও, এখনও কয়লা চালিত তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রে বিনিয়োগ করে চলেছে নরেন্দ্র মোদী সরকার৷
গুতেরেস বলেন, ‘‘কয়লার ব্যবহার না কমলে ভারতের মানুষই সমস্যায় পড়বে৷ শহরে দূষণের মাত্রা বাড়বে৷’’ তাঁর কথায়, ‘‘জৈব জ্বালানিতে আরও বেশি বিনিয়োগের অর্থ হল আরও বেশি মৃত্যু, আরও বেশি অসুস্থতাকে আহ্বান জানানো৷ সেই সঙ্গে স্বাস্থ্যখাতেও দেশের ব্যয় বেড়ে যাবে বহুগুণ৷’’ এর ফলে মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়বে মানুষ৷ এই পরিস্থিতির পরিবর্তন না ঘটলে যেমন মৃত্যু বাড়বে, তেমনই বিপর্যস্ত হবে অর্থনীতি৷
আরও পড়ুন- করোনা-কালে সম্পত্তি বাড়িয়ে অ্যামাজন-কর্তার বিশ্ব রেকর্ড, কত আয় জানেন?
রাষ্ট্রসংঘের হিসেব অনুযায়ী, কয়লাকে জ্বালানি হিসাবে ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদনে যা খরচ পড়ে, তার চেয়ে বায়ু এবং সূর্যের আলো ব্যবহার করলে খরচ অনেক কম হবে৷ ভবিষ্যতে এই খরচ আরও কমে যাবে৷ রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২২ সালের মধ্যেই পুনর্নবীকরণ শক্তির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে উঠতে পারবে না কয়লা৷ যার ফলেই কয়লাকে ক্রমাগত বাতিল করে দিচ্ছেন বিশ্বের বৃহত্তম বিনিয়োগকারীরা৷