ইংল্যান্ড: করোনার দাপটে চুপিসারেই বিয়ে সারলেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। শনিবার ওয়েস্টমিনস্টার ক্যাথিড্রালে আড়ম্বর ছাড়া অতি সাধারণভাবেই তাঁর প্রেমিকা ক্যারি সাইমন্ডস সঙ্গে একসূত্রে গাঁথা পড়েন তিনি। যদিও এই নয়া ইনিংস শুরু করার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তরফে কোনও মন্তব্য করতে চাননি মুখপাত্র।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার দেড়টা নাগাদ ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এবং তাঁর বাগদত্তা ৩৩ বছর বয়সি ক্যারি সায়মন্ডস বিয়ের সাজে আসেন ওয়েস্টমিনস্টার ক্যাথিড্রালে। সাদা লং গাউনে অপরূপা হয়ে উঠেছিলেন তিনি। বিয়ে চলাকালীন প্রায় আধ ঘণ্টা বন্ধ ছিল ক্যাথিড্রালের দরজা৷ সেখানেই চার হাত এক হয় তাঁদের৷ জনসনের পরিচিতরা বিয়ের খবরই পাননি বলেই জানা গিয়েছে। বিয়ের অনুষ্ঠান এতটাই গোপন রাখা হয়েছিল যে, শেষ মুহূর্তে আমন্ত্রণ করা হয়েছে হাতে গোনা কয়েকজনকে। এমনকি সেন্ট্রাল লন্ডনে খোদ প্রধানমন্ত্রীর বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার খবর ঘুণাক্ষরেও টের পাননি তাঁর অফিসের আধিকারিকরাও। পরে, প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে বিয়ের ছবি পোস্ট করা হয়৷
করোনার পরিস্থিতিতে বর্তমানে বিয়ের অনুষ্ঠানে ৩০ জনের বেশি জমায়েত করা যাচ্ছে না৷ নিজের বিয়েতেও কোভিড বিধি মানলেন প্রধানমন্ত্রী। ২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই তাঁরা দু’জন একসঙ্গে বাস করতেন ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটের বাড়িতে৷ ৫৬ বছরের বরিস গত বছরই ক্যারিকে বিয়ের কথা ঘোষণা করেছিলেন। সঙ্গে জানিয়েছিলেন, শীঘ্রই মা হতে চলেছেন ক্যারি। ২০২০ সালের এপ্রিলে তাঁরা পুত্রসন্তানের বাবা-মা হন৷ ছেলের নাম দেন উইলফ্রেড লরি নিকোলাস জনসন।
এরপরই এবছর বিয়েটা সেরে ফেললেন বরিস এবং ক্যারি। করোনা পরিস্থিতি মিটলে একেবারে ২০২২ সালের জুলাইতে তাঁরা বিয়ে করবেন বলেও শোনা গিয়েছিল। কিন্তু স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, শনিবারই ক্যারির হাত ধরে জীবনের নয়া ইনিংস শুরু করলেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী৷ উল্লেখ্য, এর আগে দু’বার বিবাহবিচ্ছেদ হলেও, আগের বিয়েতে তাঁর কটি সন্তান রয়েছে, তা প্রকাশ্যে বলতে চান না তিনি।