ওয়াশিংটন: ভারতের মুম্বইয়ের বাসিন্দা চিরাগ আগারওয়াল টুইটারের সিইও পদে অধিষ্ঠিত হয়েছেন তার এক বছরও হয়নি। ইতিমধ্যেই সামনে আসছে তাঁকে অপসারণের খবর। উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগেই টুইটার কিনেছেন বিখ্যাত ধনকুবের তথা টেসলা কোম্পানির চেয়ারম্যান এলন মাস্ক। তারপর থেকেই বারবার সামনে আসছে টুইটারের সিইও পদ থেকে চিরাগকে সরিয়ে দেওয়ার খবর। জানা যাচ্ছে, টুইটারের দায়িত্ব গ্রহণের পরেই এলন মাস্ক নিজে তৈরি করছেন টুইটারের নতুন কার্যনির্বাহি সদস্যদের একটি দল। সেখানে স্থান পেয়েছেন একমাত্র তাঁর প্রিয় পাত্ররাই। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তাতে নাকি নাম নেই চিরাগের।
উল্লেখ্য ২০২১ সালের নভেম্বরেই টুইটারের প্রধান নির্বাহী হিসেবে মনোনীত হন চিরাগ আগরওয়াল। আপাতত তিনিই টুইটারের সিইওর সমস্ত দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। কিন্তু অন্দরমহলের খবর, মাস্ক গত মাসে টুইটারের চেয়ারম্যান ব্রেক টেলরকে বলেছিলেন যে সানফ্রান্সিসকোভিত্তিক কোম্পানির ব্যবস্থাপনায় তাঁর কোনও আস্থা নেই। আর তাতেই আশঙ্কা করা হচ্ছে যে আগামী দিনে হয়তো চিরাগকেও সরিয়ে দিতে পারেন মাস্ক। তবে অন্যদিকে চিরাগের উপর অগাধ বিশ্বাস টুইটারের বাকি শেয়ারহোল্ডারদের। আর তাই একাংশের দাবি যতদিন না পর্যন্ত এলন মাস্কের কোম্পানির বিক্রির কাজ সম্পূর্ণ না হচ্ছে ততদিন টুইটারের সিইও হিসেবে চিরাগই নিযুক্ত থাকবেন।
অন্যদিকে রিসার্চ ফার্ম ইকুইলারের মতে, টুইটারের প্রধান কার্যনির্বাহীর পদ থেকে যদি নিয়ন্ত্রণ পরিবর্তনের ১২ মাসের মধ্যে কাউকে বরখাস্ত করা হয় তাহলে তাঁকে সংস্থা ৪২ মিলিয়ন ডলার দেবে। সেই হিসেবে দেখতে চলে মাস্ক যদি ২০২২-এর নভেম্বরের আগে চিরাগকে সিইওর পদ থেকে সরিয়ে দেন তাহলে চিরাগ সংস্থার তরফ থেকে ৪২ মিলিয়ন ডলার পাবেন।
সেইসঙ্গে অভ্যন্তরীণ সূত্রে জানা যাচ্ছে, যতদিন পর্যন্ত ইলন মাস্কের হাতে টুইটারের শেয়ার পরিবর্তনের কাজটি সম্পন্ন না হচ্ছে ততদিন এই সংস্থাটি প্রতিদিন কর্মীদের ক্ষয়ক্ষতি নিরীক্ষণ করবে। তবে মাস্কের সঙ্গে হওয়া চুক্তির কোনও প্রভাব এই সংস্থার কর্মীদের ওপর পড়বে কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। অন্যদিকে একই সূত্র আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছে যে মাস্ক যতদিন পর্যন্ত টুইটারের মালিকানা গ্রহণ না করছেন ততদিন পর্যন্ত কর্মী ছাঁটাইয়ের বিষয়ে তিনি কোনও সিদ্ধান্ত নেবেন না। অর্থাৎ আগামীতে কি হতে চলেছে তা জানা না গেলেও এই মুহূর্তে যে চিরাগই টুইটারের সিইও পদে অধিষ্ঠিত থাকছেন তা এক প্রকার পরিষ্কার।