ওয়াশিংটন: ভারত-চিন সীমান্তে পরিস্থিতি ক্রমেই উদ্বেগজনক হয়ে উঠছে৷ পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলছে চিন৷ প্রয়োজনে তিনি মধ্যস্থতা করতে প্রস্তুত বলেও বার্তা দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প৷
আরও পড়ুন- ২০২১ সালের আগে করোনা টিকাকরণ সম্ভব নয়: WHO
শুক্রবার সন্ধ্যায় হোয়াইট হাউজে সাংবাদিক বৈঠকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘‘আমরা যদি কিছু করতে পারি, তাহলে এই বিষয়ে অংশগ্রহণ করতে আমাদের কোনও আপত্তি নেই৷ দুই দেশকে সম্মান জানিয়েই বলছি, আমরা তাদের সাহায্য করতে পারলে খুশি হব। দুই দেশের সঙ্গেই আমরা কথা বলছি। গোটা বিশ্বই তাদের সাহায্য করতে চাইবে৷’’ প্রসঙ্গত, এর আগেও দু’দেশের মধ্যে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ কিন্তু সেবারে ভারত এবং চিন দুই দেশই সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। দু’দেশের তরফেই স্পষ্ট বলা হয়েছিল, সীমান্ত ইস্যুতে তৃতীয় কোনও শক্তির মধ্যস্থতার প্রয়োজন নেই। কিন্তু ট্রাম্প মনে করেন চিন বেশি শক্তি প্রদর্শন করে ফেলছে৷ বর্তমান সীমান্ত পরিস্থিতির জন্য কি চিন-ই দায়ী? এ প্রশ্নের জবাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘‘আমি আশা করব এমনটা নয়। তবে, চিন অবশ্যই মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে। অনেকেই ধারনা করতে পারছে না, কতখানি আগ্রাসী হয়ে উঠেছে চিন৷”
শুধু প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার পরিস্থিতি নিয়ে নয়, করোনা সংক্রমণের জন্যও চিনকে দুষেছেন তিনি৷ ট্রাম্প বলেন, ‘‘রাশিয়ার টিকা আবিস্কারের চেয়েও এই মুহূর্তে চিনকে নিয়ে গোটা বিশ্বের কথা বলা উচিত। কারণ, চিন যেটা করেছে, সেটা অত্যন্ত জঘন্য৷ চিনের ভাইরাসের জন্যই আজ পরিস্থিতি কোথায় পৌঁছেছে, সে আপনারা সকলেই জানেন। বিশ্বের ১৮৮টি দেশ এর জন্য ভুগছে। আমি একেরবারেই সন্তুষ্ট নই। চিনের জন্যই ইউরোপ, আমেরিকা সহ গোটা বিশ্বকে ভুগতে হচ্ছে৷’’
আরও পড়ুন- অ্যাপে নিষেধাজ্ঞা ভারতের, ক্ষোভ চিনের বাণিজ্যমন্ত্রকের
এদিকে লাদাখ সীমান্তে উত্তেজনার মাঝেই চলছে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা। শুক্রবার বৈঠক করেন ভারত ও চিনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী। প্রায় ২ ঘণ্টা ২০ মিনিট ধরে আলোচনা করেন তাঁরা৷ অন্যদিকে, সামরিক পর্যায়েও দফায় দফায় বৈঠক চলছে৷ গত ২৯/৩০ তারিখ রাতে প্যাংগং লেকের দক্ষিণে পাহাড়ি এলাকায় অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছিল লাল ফৌজ৷ এর পর দু’দিন পর ফের একই চেষ্টা চালায় তারা৷ যদিও তাদের যাবতীয় প্রচেষ্টা ভেস্তে দেয় ভারতীয় জওয়ানরা৷