ওয়াশিংটন: ডোনাল্ড ট্রাম্পের মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদের মেয়াদ ফুরোতে বাকি আর হাতে গোণা কয়েক দিন। কিন্তু তার মাঝেই শেষ কটা দিনেও বিতর্ক যেন পিছু ছাড়তে চাইছে না রিপাবলিকান নেতার। কিছুদিন আগেই মার্কিন কংগ্রেস ভবনে হামলা নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল আমেরিকার পরিস্থিতি। এদিন প্রত্যাশা মতোই সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ফের ইমপিচ্ করা হল ৪৫ তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে।
বুধবারের ইমপিচমেন্টের মাধ্যমে এক নতুন রেকর্ডে নিজের নাম লেখালেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে বলা বাহুল্য, এ রেকর্ড গর্বের নয়, কলঙ্কের। মার্কিন সংসদের ইতিহাসে তিনিই হলেন প্রথম প্রেসিডেন্ট যিনি মেয়াদ ফুরোবার আগেই ইমপিচ বা অভিশংসিত হলেন দ্বিতীয় বার। এই নজিরবিহীন ঘটনা নিঃসন্দেহে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কলঙ্কের খাতায় লেখা থাকবে বহুদিন। কেন ইমপিচ করা হল ডোনাল্ড ট্রাম্পকে? বস্তুত, তাঁর বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ, তিনি দিন কয়েক আগে মার্কিন কংগ্রেস ভবন তথা ক্যাপিটলে (capitol) হামলার ঘটনায় দুষ্কৃতীদের প্ররোচনা দিয়েছেন। মার্কিন সূত্রের খবর, এদিন সংসদ ভবনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইমপিচমেন্টের পক্ষে ভোট পড়ে ২৩২টি এবং বিপক্ষে ভোট পড়ে ১৯৭টি। ফলে প্রত্যাশিত ভাবেই দ্বিতীয় বারের জন্য ইমপিচড হন ট্রাম্প।
এদিন প্রেসিডেন্টের ইমপিচমেন্টের ঘটনায় অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়টি হল, তাঁর রিপাবলিকান পার্টিরই ১০ সদস্য এদিন কংগ্রেস ভবনে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন। এ থেকে দলের অভ্যন্তরেও যে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিয়ে অসন্তোষ পুঞ্জীভূত হয়েছে তা বেশ বোঝা যায়। নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট জো বাইডেনের কাছে হারের পর থেকেই আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রে রিপাবলিকান সমর্থকদের মধ্যে জমতে থাকে অসন্তোষ। গত ৬ জানুয়ারি ভাষণের পরেই ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থকেরা সীমা ছাড়িয়ে যান। জোট বেঁধে তাঁরা মার্কিন কংগ্রেস ভবন ক্যাপিটলে হামলা চালান। সে সময় ক্যাপিটলে জো বাইডেনকে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে আনুষ্ঠানিক ঘোষণার প্রস্তুতি চলছিল। এহেন হামলার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সরব হন আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র তথা গোটা বিশ্বের মানুষ। শুধু তাই নয়, হামলায় প্ররোচনা দানের জন্য প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা সরাসরি ডোনাল্ড ট্রাম্পের দিকে আঙুল তোলেন।