নিউইয়র্ক: জটিল হয়ে উঠছে মার্কিন মুলুকের করোনা পরিস্থিতি। কিন্তু তবুও 'আলটপকা' মন্তব্য করতে ছাড়ছেন না প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিশ্বের সর্বোচ্চ আক্রান্তের দেশ হওয়াকে সম্মানের নিদর্শন বলে উল্লেখ করেছিলেন। তাছাড়া সদর্পে একাধিকবার বলেছেন, চলতি বছরের মধ্যেই করোনার প্রতিষেধক চলে আসবে। এবার আমেরিকার স্বাধীনতা দিবসের সপ্তাহে যে কথা তিনি বললেন, তা নিয়ে ফের শুরু হয়েছে জল্পনা। বিভিন্ন সমীক্ষায় যেখানে বলা হচ্ছে, ক্রমেই পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে মার্কিন মুলুকের, সেখানে প্রেসিডেন্টের দাবি, আমেরিকার করোনা আক্রান্তের ৯৯ শতাংশ ঘটনাই নিরাপদ।
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ অ্যালার্জি অ্যান্ড ইনফেকসিয়াস ডিজিজ-এর প্রধান অ্যান্টনি ফসি সম্প্রতি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন কোভিড ১৯ পরিস্থিতি নিয়ে। সূত্রের খবর, মার্কিন মুলুকের প্রায় ৩৮টি রাজ্যের অবস্থাই ক্রমে খারাপের দিকে যাচ্ছে। এদিকে স্বাধীনতা দিবসের সপ্তাহে প্রেসিডেন্টের মুখে শোনা গেল আশ্বস্তসূচক বাণী। এদিন তিনি বলেন, 'আমরা প্রায় চার কোটি মানুষের কোভিড ১৯ পরীক্ষা করেছি। এর মাধ্যমে দেখতে পেয়েছি, মোট আক্রান্তের ৯৯ শতাংশ একেবারেই ক্ষতিকর নয়।' এই প্রসঙ্গে আমেরিকার নমুনা পরীক্ষার মান নিয়েও প্রশংসা করেন তিনি। এই মুহূর্তে করোনা সংক্রমণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত আমেরিকা। অথচ ট্রাম্প বলেন, ‘চিন থেকে আসা ভাইরাস আমাদের আঘাত করেছে। তবে পরিস্থিতির অনেক উন্নতি করেছি আমরা। আমাদের পরিকল্পনা ঠিক দিকেই এগোচ্ছে। আমরা শিখেছি, কীভাবে আগুন নেভাতে হয়।’ এদিন তিনি চিনের তথ্য গোপন করার প্রবণতাকে একহাত নেন। হুঙ্কার ছেড়ে বলেন, বিশ্বের ১৮০টি দেশের কাছে কৈফিয়ত দিতে হবে চিনকে।
নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাচ্ছে করোনা পরিস্থিতি। ইতিমধ্যে কোভিড ১৯ আক্রান্তের সংখ্যা ২৯ লক্ষ ছাড়িয়েছে। মৃত্যু সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১.৩ লক্ষ। তবুও সেই দেশের প্রেসিডেন্ট নিজের মন্তব্যে অনড়। এর আগে অবশ্য তিনি যে কথা বলেছিলেন, তা নিয়েও জল্পনা হয়েছে। সাংবাদিকদের তিনি বলেছিলেন, 'আমেরিকায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি, এটা আপনারা বলেন। তবে এর কারণ কিন্তু আমরা অন্য সব দেশের তুলনায় সবেচেয়ে বেশি পরীক্ষা করছি।' তাছাড়া সর্বাধিক আক্রান্তের বিষয়টি তাঁর কাছে কৃতিত্বের বলেই জানিয়েছিলেন তিনি। কারণ হিসেবে তাঁর দাবি, 'আমাদের পরীক্ষার কাজটা অন্যান্য দেশের চেয়ে ভাল হচ্ছে।'