নিউ ইয়র্ক: কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর ঘটনায় এখনও উত্তাল আমেরিকার মিনিয়াপোলিস৷ ঘটনার ষষ্ঠ দিনেও হাইওয়ে জুড়ে চলছে হাজার হাজার মানুষের বিক্ষোভ সমাবেশ৷ এরই মধ্যে রবিবার মিনিয়াপোলিসের পথে ঢুকে পড়ে একটি বেপরোয়া ট্যাঙ্কার ট্রাক৷ তবে এই ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর নেই৷ ট্রাকের চালককে বেধরক মারধর করা হয়েছে৷ অন্যদিকে, হোয়াইট হাউসের বাইরে জনরোষের হাত থেকে বাঁচতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মাটিরে নিচে বাংকারে আত্মগোপণ করতে বাধ্য হন৷
প্রত্যক্ষদর্শী এবং মিনেসোটা ডিপার্টমেন্ট অফ পাবলিক সিকিউরিটি (এমএনডিপিএস)-র টুইট থেকে জানা গিয়েছে, ঘটনার দিন হর্ন বাজাতে বাজাতেই ট্রাকটি বিক্ষোভকারীদের দিকে ছুটে আসে৷ ফলে সতর্ক হয়ে গিয়ে চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েন আন্দোলনকারীরা৷ বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে এগিয়ে যেতে থাকে ট্রাকটি। এক পর্যায়ে বিক্ষোভকারীরা ট্রাকটি থামান এবং চালককে টেনে বের করে নিয়ে আসেন। তাঁকে বেধরক মারধর করা হয়৷ তড়িঘড়ি অকুস্থলে পৌঁছয় পুলিশ৷ ওই চালককে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ তাঁর জখম ততটা গুরুতর নয় বলে জানা গিয়েছে৷ পরে ওই ট্রাক চালককে গ্রেফতার করে পুলিশ৷
মিনেসোটার গভর্নর টিম ওয়াল্জ বলেন, ‘‘এই ঘটনা অস্থির পরিস্থিতি তৈরি করেছিল৷ তবে ওই ট্রাক চালকের উদ্দেশ্য কী ছিল তা আমাদের জানা নেই৷’’ এমএনডিপিএস-এর তরফে টুইট করে বলা হয়, ‘‘শান্তিপূর্ণভাবেই বিক্ষোভ চলছিল৷ কিন্তু ওই ট্রাক চালকের এই কাজে অস্থির পরিস্থিতি তৈরি হয়৷’’ ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, ট্রাকটির গায়ে ‘‘কেনান অ্যাডভান্টেজ গ্রুপ’’-এর লোগো লাগানো রয়েছে৷ এটি ওহিও-র একটি ট্রান্সপোর্টেশন সংস্থা৷ এই ঘটনায় তদন্তে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে সংস্থার কর্তৃপক্ষ৷ ওই চালকের পরিচয় এখনও জানা যায়নি৷ মিনেসোটা স্টেট পেট্রোল এবং মিনেসোটা ব্যুরো অফ ক্রিমিনাল অ্যাপ্রিহেনসন ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে৷
অন্যদিকে, নিউ ইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, শুক্রবার রাতে হোয়াইট হাউসের বাইরে তীব্র বিক্ষোভ শুরু করেন আন্দোলকারীরা৷ জনরোষের হাত থেকে বাঁচতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মাটিরে নিচে বাংকারে আত্মগোপণ করতে বাধ্য হন৷ এক ঘণ্টার কম সময় ট্রাম্প ওই বাংকারে আত্মগোপন করে থাকেন বলে দাবি নিউ ইয়র্ক টাইমসের৷ সূত্রের খবর, ওই সময় মার্কিন প্রেসিডেন্টকে ঘিরে ছিলেন সিক্রেট সার্ভিস ও ইউনাইটেড স্টেটস পার্ক পুলিশের শীর্ষ কর্তারা৷
গত ২৫ মে মিনিয়াপোলিসে জর্জ ফ্লয়েডের হত্যার পর আমেরিকার অন্তত ১৪০টি শহরে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ছে প্রতিবাদের আগুন। একাধিক শহরে বিক্ষোভ হিংসাত্মক চেহারা নিয়েছে।