নয়াদিল্লি: আজ ৬ জুলাই দলাই লামার ৮৫ তম জন্মদিন উপলক্ষে তাঁর অনুগামীরা উৎসবে মেতে উঠছেন। এই উলক্ষে মানুষ দলাই লামার বোন জেতসুন প্রেমাকে স্মরণ করছেন। এই জেতসুন প্রেমা ভারতে তিব্বতি পরিবারের জন্য যা করছেন, মানুষ কোনওদিন তা ভুলতে পারবে না। তিনি মূলত শরণার্থী পরিবারের শিশুদের জন্য কাজ করছেনে।
৭৮ বছরের তিব্বতের শরণার্থী দলাই লামার বোন জেতসুন প্রেমাকে ভারত সরকার নারী শক্তি পুরস্কার দেয় ভারত সরকার তাঁর কাজের জন্য। তিনি তিব্বত থেকে শরণার্থী হয়ে আসা ভারতে আসা শিশুদের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে গিয়েছেন। তিনি ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে তৈরি করেছেন স্কুল, অনাথ আশ্রম। শুধু তিব্বত নয়, হিমালয়ের পাদদেশ থেকে আসা বৌদ্ধ ধর্মের যে কোনও শিশুর জন্য তিনি মমতাময়ী হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। উজার করে দিয়েছেন ভালোবাসা। ওই শিশুদের উজ্বল ভবিষ্যতের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে গিয়েছেন। আর ক্রমেই তিনি তিব্বতের শরণার্থী সম্প্রদায়ের মানুষদের মা হয়ে উঠেছেন।
১৯৬৪ সাল থেকে তিনি তিব্বতের শিশুদের জন্য কাজ করে গিয়েছেন। ভারত সরকার ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গে তিনি কাজ করেছেন। গড়ে তুলেছেন ১০ টা আবাসিক স্কুল, ১৭টা ডে স্কুল, তিনটে ভোকেনাল ট্রেনিং স্কুল, তিনটে কলেজ পড়ুয়াদের জন্য হস্টেল ও একটি কলেজ। সারা ভারত জুড়ে তাঁর এই কর্মকাণ্ড ছড়িয়ে রয়েছে। তাঁর প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় ৫২,০০০ পড়ুয়া স্নাতক হয়েছেন। তার মধ্যে অর্ধেকের বেশি রয়েছেন তিব্বতি বৌদ্ধ। ভারতে হিমালয়ের পাদদেশে শিক্ষার মান বাড়াতে তাঁর প্রতিষ্ঠানগুলো অবদান অনস্বীকার্য।