ঢাকা: এবার এপার বাংলা-ওপার বাংলার মধ্যে যাতায়াতের ক্ষেত্রে সময়ের ব্যবধান কমল৷ এখন কলকাতা থেকে ঢাকা যেতে সময় লাগবে মাত্র সাড়ে তিন ঘণ্টা৷ তবে এখনই এই সুবিধা মিলবে না৷ এর জন্য অপেক্ষা করতে হবে আরও বছর তিনেক। পদ্মা নদীর ওপরে একটি তৈরি করা হচ্ছে৷ তাতেই দুই নিকটতম প্রতিবেশীর মধ্যে প্রায় দ্বিগুণ দূরত্ব কমে যাবে বলে দাবি বাংলাদেশের রেলওয়ের আধিকারিকদের।
বর্তমানে ‘মৈত্রী এক্সপ্রেসে’ চড়ে কলকাতা থেকে ঢাকা যেতে সময় লাগে অন্তত ১০ ঘণ্টা। দু’দেশের মধ্যে যাতায়াতের সময়সীমা কমাতেই পদ্মা নদীর ওপর সেতু তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে৷ বাংলাদেশ রেলওয়ের আধিকারিকদের কথায়, প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করে পদ্মার ওপর নির্মিত সেতুতে রেল সংযোগ প্রকল্প চালুর হওয়ার পর ঢাকা-কলকাতার যোগাযোগ ব্যবস্থায় অভূতপূর্ব উন্নয়ন ঘটবে। এখন যে ১০ ঘণ্টা সময় লাগে, সেই সময়ের ব্যবধান তিন বছর পর মাত্র সাড়ে তিন ঘণ্টা হবে৷ আর এই সময়েই ঢাকা থেকে কলকাতায় পৌঁছে যাওয়া যাবে। এখন মৈত্রী এক্সপ্রেস কলকাতা থেকে গেদে হয়ে বাংলাদেশের সীমান্ত স্টেশন দর্শনা পার করে ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনে পৌঁছয়। এই রুটে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার রেলপথ পাড়ি দিতে হয়।
পদ্মা ওপর সেতু নির্মাণের কাজ সম্পন্ন হলে কলকাতা স্টেশন থেকে বনগাঁ জংশন হয়ে হরিদাসপুর সীমান্ত দিয়ে বেনাপোলের পর যশোর, নড়াইল, ফরিদপুরের ভাঙা হয়ে ঢাকা পৌঁছতে ট্রেনটির প্রায় ২৫১ কিলোমিটার রেলপথ অতিক্রম করতে হবে। এই পথ পাড়ি দিতে মৈত্রী এক্সপ্রেসের গতিতে সাড়ে তিন ঘণ্টার বেশি সময় লাগবে না বলেই দাবি রেল কর্তাদের।
বাংলাদেশের রেলমন্ত্রী মহম্মদ নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, ‘২০২৪ সালের মার্চ মাসে পদ্মা নদীর ওপরে রেল সেতু নির্মাণের কাজ শেষ হবে।’ পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘আগরতলা থেকে ট্রেনে ঢাকা হয়ে কলকাতা পৌঁছতে সময় লাগবে মাত্র ছয় ঘণ্টা৷’ বর্তমানে ট্রেনে আগরতলা থেকে কলকাতা পৌঁছতে ৩০ ঘণ্টারও বেশি অতিবাহিত হয়। বাংলাদেশ সেতু বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, মাওয়া-জাজিরার মধ্যে অবস্থিত মূল সেতুর কাজ এগিয়েছে প্রায় ৯৩ শতাংশ।