নিউইয়র্ক: প্রায় ১১১ বছর আগের কথা। টাইটানিক নামটি শুনলেই কত কী ভেসে আসে চোখের সামনে। ১৯১২ সালে ঘটে যাওয়া এই ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনাকে আরও যেন জীবন্ত করে তুলেছিল রুপোলি পর্দায় ‘টাইটানিক’ ছবিটি। পাহাড় প্রমাণ সেই জাহাজের এমন পরিণতি কেউই কল্পনা করেনি। সেই টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ আজও নাকি রয়েছে আটলান্টিক মহাসাগরের তলে। কিন্তু বর্তমানে কী অবস্থায় থাকতে পারে সেটি, তারই এক রূপ দিল এর থ্রি-ডি অবয়ব। বুধবার বিবিসি এই ছবি প্রকাশ করে সাড়া ফেলে দিয়েছে।
সিনেমার মতোই নাকি টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষের সন্ধান মিলেছিল। কিন্তু এত বছরেও তার কোনও ছবি তোলা সম্ভব হয়নি। ১৯৮৫ সালে প্রথম এই ধ্বংসাবশেষের সন্ধান মেলে। তারপর থেকে আজ পর্যন্ত শত চেষ্টা করেও কোনও ছবি মেলেনি এই দৈত্যাকার জাহাজের। কিন্তু বর্তমানে উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে সেই ছবি তোলা সম্ভব হয়েছে। জানা গিয়েছে, ‘ম্যাগেলান লিমিটেড’ নামের ডিপ সি ম্যাপিং কোম্পানি ২০০ ঘণ্টা সময় ব্যয় করে প্রায় ৭ লক্ষ ছবি তুলেছিল টাইটানিকের। ২০২২ সালে এই কাজ করে তারা। ছবি তোলার পর এতদিনে ডিজিটাল স্ক্যান করা যেতে পেরেছে তার। সামনে এসেছে ‘টাইটানিক’।
NEW TITANIC SCANS… To give you an idea of the size of the scan we superimposed it into @LondonStadium where the 2012 Olympics was held. Use me in my orange jacket for scale! #Titanic pic.twitter.com/mPDcKCz4mu
— Rebecca Morelle (@BBCMorelle) May 17, 2023
২০১২ সালে যে স্টেডিয়ামে অলিম্পিক খেলা হয়েছিল, সেই স্টেডিয়ামের প্রেক্ষাপটে দেখানো হচ্ছে টাইটানিককে। ছবি বা ভিডিও দেখলেই বোঝা যাবে যে ওই জাহাজ আদতে কতটা বড় এবং বিলাসবহুল ছিল। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে বিবিসির এই তথ্যচিত্র। এছাড়া ছবি এবং ভিডিও।