বস্টন: টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে আটলান্টিকের প্রায় ১৩ হাজার গভীরে যাওয়া সাবমারসিবেল টাইটান ধ্বংস হয়েছে। ভিতরে থাকা ৫ যাত্রীও আর নেই। তবে ডুবোজাহাজের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করা যায় কিনা তা নিয়ে ধন্দ ছিল। একই সঙ্গে কোনও যাত্রীর দেহও মিলবে কিনা তাও নিশ্চিত ছিল না। তবে অবশেষে টাইটান ডুবোযানের ধ্বংসাবশেষ সমুদ্রের ওপরে তোলা সম্ভব হয়েছে। শোনা গিয়েছে, এর মধ্যে খোঁজ পাওয়া গিয়েছে বেশ কিছু দেহাবশেষের। অনুমান, সেগুলি মানবদেহের টুকরো! আপাতত এই নিয়ে পরীক্ষা চলছে।
আমেরিকার উপকূলরক্ষা বাহিনীর তরফে জানান হয়েছে, টাইটানের ধ্বংসাবশেষ থেকে তো বটেই দেহাবশেষ মিলেছে ডুবোযান উদ্ধার হওয়ার স্থান থেকেও। চিকিৎসকদের ধারনা, সেগুলি মানবদেহের টুকরো। যদিও এখন একাধিক পরীক্ষা করার দরকার রয়েছে। উদ্ধার হওয়া টুকরোগুলি আদতে মানুষের দেহাবশেষ নাকি অন্য কোনও প্রাণীর, তা জানতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে বলেই জানান হয়েছে। তবে এখনও কেমন করে এই মারাত্মক ঘটনা ঘটল তা নিয়ে চর্চা চলছে। অনেকেই অনেক কিছু ‘থিওরি’ দিয়েছেন। তবে অধিকাংশ বিশেষজ্ঞরা যে বিষয়টিকে গ্রহণযোগ্য মনে করছেন তা হল ‘ইমপ্লোশন’।
বিষয় হল, বিস্ফোরণকে বলা হয় এক্সপ্লোশন, আর এই ইমপ্লোশন হল ঠিক তার বিপরীত ঘটনা। অর্থাৎ, এক্সপ্লোশন হলে বস্তু ফেটে ছড়িয়ে পড়ে। আর ইমপ্লোশন হলে কোনও বস্তু আচমকা ফেটে না গিয়ে ভিতরের দিকে চুপসে যায়। সমুদ্রের গভীরে থাকা সাবমেরিন বা সাবমারসিবেলের ক্ষেত্রে এই ঘটনা খুবই স্বাভাবিক। অনুমান সেটাই হয়েছে টাইটানের সঙ্গে।