বস্টন: আশঙ্কা যেমন ছিল ঠিক তেমনই হল। টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে গিয়ে আর ফেরা হল না সাবমেরিনের পাঁচ যাত্রীর। শেষ ৪ দিন ধরে আপ্রাণ চেষ্টা করা হচ্ছিল যাতে কোনও ভাবে তাদের ফিরিয়ে আনা যায়। কিন্তু আটলান্টিকের ওই গভীরে এই সাবমেরিনের সন্ধানই করা যায়নি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে। এদিন সকালেই মার্কিন নৌসেনার তরফে জানান হয়, সাবমেরিনের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার হয়েছে টাইটানিকের পাশ থেকেই। মৃত্যু হয়েছে পাঁচ যাত্রীর। কিন্তু কী ভাবে শেষমেষ হদিস মিলল এই সাবমেরিনের? আর আদতে ঠিক কী কারণে এই ঘটনা ঘটল?
মার্কিন সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, মহাসাগরের জলের তলায় প্রায় ১৩ হাজার ফুট গভীরে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ থেকে ১ হাজার ৬০০ ফুট দূরে মিলেছে এই টাইটান সাবমেরিনের ধ্বংসাবশেষ। আমেরিকার উপকূলরক্ষী বাহিনীর দাবি, সমুদ্রের গভীরের ভীষণ জলের চাপে একেবারে দুমড়ে-মুচড়ে গিয়েছিল সেটি। ধ্বংস হওয়ার পর পাঁচটি টুকরো হয়ে গিয়েছে সাবমেরিনটির। অনুমান করা হচ্ছে, এর আগে সমুদ্রের তলদেশ থেকে যে আওয়াজ আসছিল এবং যেটিকে মনে করা হচ্ছিল যে টাইটান থেকে আসছে, সেটিই সাবমেরিন ধ্বংস হওয়ার মুহূর্ত। তবে অভিযাত্রীদের দেহ এখনই উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। আদৌ সম্ভব হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করা হয়েছে।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”সিকিমে হড়পা বান” width=”853″>
কিন্তু কী ভাবে বিস্ফোরণ ঘটল ওই সাবমেরিনে? বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ওই গভীরতায় পৌঁছে জলের প্রবল চাপ সহ্য করতে পারেনি টাইটান। এই ধরনের ডুবোজাহাজ কার্বন ফাইবার এবং টাইটানিয়াম দিয়ে তৈরি করা হয়। যদি তাতে কোনও ত্রুটি থাকে বা কোনও ভাবে চিড় ধরে তা হলে দুমড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এক্ষেত্রেও তাই হয়েছে বলে ধারণা। যদিও অভিযাত্রীরা সেটি থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টাও করে তাহলেও ওই গভীরতায় তাদের মৃত্যু নিশ্চিত।