ওয়াশিংটন: ভারতের পর এবার আমেরিকায় টিকটক বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা দেখতে পাওয়া গিয়েছে। এক বিবৃতিতে মার্কিন বিদেশ সচিব টিকটক বন্ধের ইঙ্গিত দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। আমেরিকার নিরারত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে টিকটকে। এমনই মন্তব্য করেছেন মাইক পম্পেও। তবে ঠিক কবে থেকে টিকটক বন্ধ হবে, সেই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। এই বিষয়ে আলাোচনা চলছে বলে জানা গিয়েছে।
এক বিবৃতিতে মাইক পম্পেও জানিয়েছেন, চিনের টেলিভিশনগুলো সরকারের নজরদারিতে সাহায্য করে। সোজাসুজি কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে যুক্ত। অন্য দিকে, চিনের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্ক একেবারে তলানিতে ঠেকেছে। তারমধ্যে টিকটক ব্যবহারকারীদের ডেটা চিনা প্রশাসনের সঙ্গে শেয়ার করে। যার জেরে আমেরিকার তথ্য চিনের হাতে চলে যাচ্ছে। এর ফলে দেশের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে।
ঠিক এই কারণ দেখিয়ে ভারতে টিকটকের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। ভারতের সঙ্গে চিনের সম্পর্ক ক্রমেই তলানিতে ঠেকছে। লাদাখ সীমান্তে উত্তেজনা রয়েছে। ভারতের সীমান্তে গালওয়ান নদীর তীরে ঘাঁটি গেড়ে বসেছিল চিনারা সেনারা। সোমবার চিনা সেনারা এক কিলোমিটার পিছিয়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। উত্তেজনার মধ্যেই ভারতে ৫৯টি চিনা অ্যাপ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
তবে টিকটিক বার বার দাবি করেছে, তারা চিনা সংস্থার কাছে কোনও তথ্য শেয়ার করে না। হংকংয়ে অন্য প্রযুক্তি সংস্থার মতো টিকটক তাদের ব্যবসা সরে নিয়ে যেতে উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। নয়া আইন অনুযায়ী যে কোনও হংকংবাসীর তথ্য চাইতে পারে চিন।