আজ বিকেল: আড়াইশো গ্রামের কিছু বেশি ওজনের শিশু সাতমাস নিওনেটাল কেয়ার ইউনিটে কাটানোর পর বাবা-মাএর কাছে ফিরল। হ্যাঁ ঠিকই ধরেছেন সে আর কেউ নয়, সে হল বিশ্বের সবথেকে ক্ষুদ্রতম শিশু রায়ুসুকে সেকিয়া। গত অক্টোবরে মধ্য জাপানের এক হাসপাতালে রায়সুকের জন্ম হয়। মায়ের হাইপার টেনশন থাকার কারণেই আগেভাগে তার জন্ম। এরপর দীর্ঘদিন ধরে তাকে হাসপাতালের নিওনেটাল কেয়ার ইউনিটে থাকতে হয়েছে। কখনও টিউবে খাওয়ানো কখনও তুলোয় করে মায়ের দুধ। এভাবেই ১৩গুন ওজন বাড়ল রায়সুকে সেকিয়ার।
জাপানের স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, গত বছরই টোকিও হাসপাতালে জন্ম হওয়া এক সদ্যোজাত পুত্রের ওজন হয়েছিল ২৬৮ গ্রাম। সেই রেকর্ড ভেঙেছে রায়ুসুকে সেকিয়া। এতদিন খেয়েদেয়ে বেশ গায়েপায়ে লেগেছে তার, আপেল সদৃশ চেহারা এখন মনুষ্যশিশুর আকার নিয়েছে।
ডাক্তাররা জানিয়েছেন, রায়ুসুকে প্রি-ম্যাচিওর বেবি। তবু বাবা-মা চিকিৎসকদের প্রতি বিশ্বাস হারাননি। হাসপাতালের নিওনেটাল কেয়ার ইউনিটে টানা চিকিৎসায় ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠেছে রায়সুকে সেকিয়ার। আজই হাসপাতাল থেকে প্রথম বাড়ি গেল বিশ্বের ক্ষুদ্রতম শিশুপুত্র।