আজ বিকেল: যতই কষ্ট হোক পড়াশোনা চলবে৷ শিক্ষার গুরুত্ব যে কোনও কিছুর থেকেই কম নয়, বরং অনেকটাই বেশি। তাইতো হাসপাতালে সন্তানের জন্ম দিয়ে গ্রাজুয়েশনের পরীক্ষা দিতে গেলেন মা। মাত্র আধ ঘণ্টা বিশ্রাম নিয়েছিলেন, তারপর ফের জীবনযুদ্ধে নেমে পড়লেন। সন্তানের জন্ম দেওয়ার পর হাসপাতালের বেডে বসে পরীক্ষা দেওয়ার ছবি নেট দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই ভাইরাল হয়েছে। পড়াশোনার প্রতি এই মহিলার আগ্রহে মুগ্ধ নেটিজেনরা।অভিনব ঘটনাটি ইথিওপিয়ার।
ওই মহিলার নাম আলমাজ দেরেসে। ২১ বছরের ওই মহিলা ইথিয়োপিয়ার পশ্চিম অংশের বাসিন্দা। আলমাজের গ্র্যাজুয়েশনের এই পরীক্ষা আগেই হয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু রমজানের জন্য সেই পরীক্ষা পিছিয়ে যায়। গত সোমবার পড়েছিল সেই পরীক্ষার দিন। কিন্তু সেদিন সকালেই হঠাৎ প্রসব বেদনা ওঠে তাঁর। সঙ্গে সঙ্গে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। সেখানে তিনি একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। তার আধঘণ্টা পরই পরীক্ষায় বসেন তিনি। এই ঘটনা নিয়ে তিনি এক সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, “আমার সন্তান প্রসব ঝুঁকিপূর্ণ ছিল না। তাই পরীক্ষা না দিয়ে একটা বছর নষ্ট করতে চাইনি।”
মা্ত্র ১৭ বছর বয়সেই আলমাজের বিয়ে হয়ে যায়। তবে স্বামী বন্ধুর মতো হওয়ায় পড়াশোনায় কোনওরকম ব্যাঘাত তো ঘটেনি উল্টে সবসময় সহযোগিতা পেয়েছেন। সন্তানসম্ভবা হওয়ার কারণে স্বামী সবসময় তাঁর কেয়াল রাখতেনষ ইথিওপিাতে সন্তান জন্মের সঙ্গে পড়াশোনা করতে থাকা মেয়েদের সংখ্যা নেহাত কম নয়। এখানকার বেশিরভাগ মেয়েরই ১৮ বছরের কম বয়সে বিয়ে হয়ে যায়। ২০১৮-র ইউনিসেফ রিপোর্ট অনুয়ায়ী এই দেশের ঘরে ঘরে অন্তত ১৫ মিলিয়ন বাল্যবধূ রয়েছে। সেদেশের শিক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, গত মঙ্লবার গ্রাজুয়েশনের পরীক্ষা শুরু হতে না হতেই অন্তত ১১জন ছাত্রী সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। এবার প্রায় ১.২ মিলিয়ন পড়ুয়া গ্রাজুয়েশনে বসেছেন, তার অর্ধেকই ছাত্রী।