ফ্রান্স: করোনার বিধিনিষেধ শিথিল হতেই জনতার মনোবল বাড়াতে রাস্তায় বেরিয়েছিলেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ৷ দক্ষিণ-পূর্ব ফ্রান্সে প্রকাশ্য রাস্তায় জনতার সঙ্গে সৌজন্য দেখাতে গিয়েই চরম বিপাকে পড়েন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট৷ তাঁর গালে সপাটে চড় মারেন ৪৩ বছরের এক ব্যক্তি। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত দু’জন গ্রেফতার হয়েছে৷ ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
বিবিসিতে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, করোনার বিধিনিষেধ শিথিল হওয়ার পরই দক্ষিণ-পূর্ব ফ্রান্সে সফরে গিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ। মঙ্গলবার ১.১৫ নাগাদ একটি হাই স্কুল পরিদর্শন করে গাড়িতে ফিরে আসেন তিনি৷ এরপর অনেকেই তাঁকে দেখার জন্য রাস্তায় ভিড় করেছিলেন বলে তিনি ড্রোম প্রদেশের ভ্যালেন্স শহরের কাছেই একটি রাস্তায় হাঁটতে বেরিয়েছিলেন৷ হাঁটতে হাঁটতে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ব্যক্তিদের সঙ্গে করমর্দন করছিলেন এবং হালকা মেজাজে কথাও বলছিলেন ম্যাক্রোঁ। তখন একজনকে নমস্কার করে অন্য এক যুবকের সঙ্গে করমর্দনের জন্য হাত বাড়িয়ে দেন তিনি। কিন্তু আচমকাই ওই ব্যক্তি ম্যাক্রোঁর গালে সপাটে চড় কষিয়ে ‘ম্যাক্রোঁবাদ নিপাত যাক’ বলেও স্লোগান দেন ওই হামলাকারী। এই ঘটনায় উপস্থিত সকলেই অবাক হয়ে যান৷ সঙ্গে সঙ্গেই প্রেসিডেন্টকে সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে যান তাঁর দেহরক্ষীরা। অভিযুক্ত যুবক-সহ দু’জনকে পুলিশ গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে৷ এই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে৷ ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন অনেকেই।
এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ফ্রান্সে। শাসকদল থেকে শুরু করে বিরোধী নেতারা সকলেই এই ঘটনার নিন্দা করেছেন। হামলার ঘটনার খানিকটা পরেই ফ্রান্সের জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী জিন ক্যাসটেক্স বিবৃতি দিয়ে বলেন, ‘কোনওভাবেই হিংসা বা হামলার ঘটনা বরদাস্ত করা যায় না।’ ফরাসি প্রেসিডেন্টের সমর্থন করে বক্তব্য অতি দক্ষিণপন্থী নেতা ম্যারিন লি পেন বলেছেন, ‘গণতান্ত্রিক আলোচনা অনেক ক্ষেত্রে তিক্ত হয়ে উঠলেও, হামলার ঘটনা মেনে নেওয়া সম্ভব নয়।’