আজ বিকেল: সমকামীদের স্বীকৃতির বর্ষপূর্তি, তাই তাদের সম্মান জানাতে গোটা জুন মাস জুড়েই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রশাসনিক ভবনে ঝুলছে রামধনু রঙা পতাকা। কোথায় বা রামধনু আলোর মালায় সাজানো হয়েছে সরকারি ভবন। বাদ যায়নি ভারত ইজরায়েলের মতো দেশ। এদিকে এই সম্মান জ্ঞাপনের ঘোরতোর আপত্তি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। তবে সে আপত্তি মানছে কে, ট্রাম্পের আপত্তি অগ্রাহ্য করেই চলছে এই সম্মান জ্ঞাপন। বিভিন্ন দেশে অবস্থিতি মার্কিন দূতাবাসের বাইরে উড়ছে প্রাইড মান্থের পতাকা।
উল্লেখ্য, বারাক ওবামা যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ছিলেন সেই সময় তিনি নিজে জুনমাসকে সমকামীদের সম্মান জানানোর জন্য নির্ধারিত করেন। ঠিক হয় সারা বিশ্বে যতগুলো মার্কিন দূতাবাস আছে সবকটিতেই এই প্রাইড মান্থ পালন করা হবে। তারপর থেকেই এই রীতি চলে আসছে। উপলক্ষ ‘গে প্রাইড মান্থ’। চেন্নাইয়ের মার্কিন কনসুলেটে ঢোকার মুখেই বিরাট ‘রেনবো ফ্ল্যাগ’। নয়াদিল্লির দূতাবাস সেজেছে সাত রঙের আলোতে। চিলির মার্কিন দূতাবাসের ওয়েবসাইট খুললে দেখা যাচ্ছে একটি ভিডিয়ো। যেখানে রামধনু পতাকা তুলছেন এক শীর্ষ কূটনীতিক। ভিয়েনায় মার্কিন দূতাবাসের ওয়েবসাইটেও ‘রেনবো ফ্ল্যাগ’। জেরুজালেমে মার্কিন কূটনীতিকরা আবার সমকামী মিছিলে অংশ নেওয়ার ছবি পোস্ট করেছেন টুইটারে। ‘প্রাইড’ লেখা প্ল্যাকার্ড হাতে দূতাবাসের বাইরে দাঁড়িয়ে ছবি তুলেছেন তাঁরা।
বলা বাহুল্য, এই ঘটনায় ট্রাম্পের আঁতে ঘা লেগেছে। বিদেশ দপ্তরের শীর্ষকর্তাদের অনুমতি ছাড়া রামধনু পতাকা লাগাতে নিষেধ করেছেন তিনি। তবে জানা গিয়েছে, দেশের পতাকা লাগানোর জন্য নির্দিষ্ট জায়গাটি ছেড়ে এই পতাকা লাগালে কোনও নিষেধাজ্ঞার এক্তিয়ারে পড়বে না। দিও সরকারি ভাবে বিবৃতি দিয়ে এ বারও ‘এলজিবিটি প্রাইড মান্থ’ পালনের কথা বলেছে ট্রাম্প প্রশাসন। এমনিতেই ট্রাম্পের মধ্যে সমকামীদের নিয়ে সেরকম নাক উঁচু ভাব নেই। তাইতো প্রশাসনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাঁকে সমকামীদের নিয়োগ করতে দেখা গিয়েছে। এমনকী, বিদেশ দপ্তরের শীর্ষকর্তাদের মদ্যেও অনেক সমকামী রয়েছেন, যেটা আবার সরকারিভাবে কেউ জানেন না। কিন্তু সেনাবাহিনীতে সমকামীদের জন্য কোনও জায়গা নেই।