সহকারীকে চুম্বন, বিপাকে পড়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ইস্তফা

সহকারীকে চুম্বন, বিপাকে পড়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ইস্তফা

লন্ডন: করোনা নিয়ন্ত্রণে জারি করা বিধিনিষেধ লঙ্ঘন করার ছবি প্রকাশ পাওয়ায় ব্রিটেনের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিলেন ম্যাট হ্যানকক৷ করোনা আবহে এক সহকারীকে চুমু খাওয়ার ছবি সংবাদপত্রে প্রকাশ পাওয়ায় বিপাকে পড়েন ব্রিটেনের এই মন্ত্রী৷ দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে। তাঁকে মন্ত্রিসভা থেকে বরখাস্ত করারও দাবি ওঠে৷ যদিও তিনি নিজেই প্রধানমন্ত্রীকে ইস্তফা দিয়ে একটি চিঠিতে লেখেন, ‘করোনা নামক অতিমারিতে যখন ব্রিটেনের মানুষ অনেক ত্যাগ করেছেন, সেখানে সত্যিই আমরা তাঁদের হতাশ করেছি৷’ ম্যাট হ্যানককের ইস্তফাপত্র গ্রহণ করাটাই তাঁর কাছে খুবই দুঃখের বিষয় বলে জানান বরিস জনসন৷ ব্রিটেনের নয়া স্বাস্থ্যমন্ত্রী হলেন সাজিদ জাভিদ৷

প্রসঙ্গত, শুক্রবারই সমালোচনার চাপে সামাজিক দূরত্বের নিয়ম ভেঙে গিনা কোলাডঅ্যাঞ্জেলো নামের এক সহকারীকে চুমু খাওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চান তিনি। ওই সহকারীকে ম্যাট হ্যানকক নিজেই কাজে নিয়েছিলেন৷ তাঁর সঙ্গে অন্তরঙ্গ ছবি প্রকাশ পাওয়ার পর দুঃখ প্রকাশ করে মন্ত্রী বলেন, তিনি মানুষকে হতাশ করেছেন। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের কাছে হ্যানককের কাজকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলে তাঁকে মন্ত্রিসভা থেকে বরখাস্ত করার দাবি জানিয়েছেন লেবার পার্টির সদস্যরা৷ তবে ডাউনিং স্ট্রিট বলছে, প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন হ্যানকককে ক্ষমা করেছেন এবং বিষয়টি এখানেই শেষ করতে বলেছেন। ডাউনিং স্ট্রিটের একজন মুখপাত্র বলেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ওপর সম্পূর্ণ আস্থা রয়েছে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর।

ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড দ্য সানের এক প্রতিবেদনে প্রকাশিত খবর থেক জানা গিয়েছে, হ্যানকক ও কোলাডঅ্যাঞ্জেলো দু’জনেই বিবাহিত এবং তাঁদের তিনটি করে সন্তানও রয়েছে। গত ৬ মে তাঁদের অন্তরঙ্গ ছবি স্বাস্থ্য বিভাগের ভেতরেই তোলা হয়।  লেবার পার্টির চেয়ারম্যান অ্যানেলিস ডডস বলেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে হ্যানকক নিজেই নিয়ম বানিয়েছেন এবং নিয়ম ভাঙার বিষয়টি স্বীকার করেছেন তিনি। তাঁকে পদত্যাগ করতে হবে। নয়তো প্রধানমন্ত্রীর উচিত তাঁকে বরখাস্ত করা। লেবার পার্টির একজন মুখপাত্র বলেন, সরকার বিষয়টিকে আড়াল করার চেষ্টা করলেও, তা এখানেই শেষ হবে না৷ বিষয়টি এখানেই শেষ হয়ে যায়নি। যদিও সরকার পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, এই ঘটনায় কোনও আইন লঙ্ঘন হয়নি। কারণ, হ্যানকক ও তাঁর সহকারী দু’জনেই স্বাস্থ্য বিভাগে বৈধ কাজের জন্য গিয়েছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *