আজ বিকেল: ব্যাকটিরিওলজি ও ইমিউনোলজিতে উল্লেখযোগ্য গবেষণা করে আগেই উত্তরণের শীর্ষপথ ছুঁয়েছেন। এবার ব্যাকটিরিয়াকে দৃশ্যমান করার পন্থা আবিষ্কার করে পেয়ে গেলেন নোবেল পুরষ্কার। রসায়নে নোবেলজয়ী অধ্যাপক জর্জ পি স্মিথকে গবেষণাক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ করার জন্য এবার সম্মাননা জ্ঞাপন করল মিসৌরি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এই প্রাক্তন ছাত্র তথা অধ্যাপককে দেওয়া হল ২৫০ হাজার ডলার আর্থিক পুরস্কার।
বলাবাহুল্য এই নোবেলজয়ী অধ্যাপক সেই পুরস্কার সাদরে গ্রহণের পর প্রাপ্ত অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও বিজ্ঞানবিভাগের পড়ুয়াদের উন্নতিকল্পে প্রদান করলেন। এমনিতেই দয়ালু, সহানুভূতিশীল মানুষ হিসেবে স্মিথের নাম ছিল, তাঁর এই নয়া উদ্যোগ সেই গুণের আখরে নয়া পালক জুড়ল সন্দেহ নেই।
জর্জ পি স্মিথ কিন্তু কলাবিভাগেই প্রথম ব্যাচেলর ডিগ্রি নেন,তারপর ফের বিজ্ঞান বিভাগে বিএসসি পাস করেন। এরপর গবেষণা মিসৌরি বিশ্ববিদ্যালয়ে রসায়ন বিদ্যায় অধ্যাপনা,তবে তখনও থামেনি গবেষণা। ব্যকটিরিয়াকীভাবে আমাদের প্রাণীজগতকে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে রেখেছে তানিয়েই চলত গবেষণা। এরপর একদিন অবসরের বয়স হল প্রিয় অধ্যাপককে হারাতে চায়নি পড়ুয়ারা একই পরিস্থিতি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষেরও। তাই নিয়ম মেনে অবসর হলেও গবেষণাগারের দায়িত্ব তাঁর হাতেই রইল। মন দিয়ে শুরু করলেন ব্যাকটিরিয়ার ঠিকুজি কুষ্ঠির অনুসন্ধান দীর্ঘ গবেষণার ফল মিলল,ব্যাকটিরিয়াকে চোখে দেখার আশা বাস্তবায়িত করলেন। ফেজ ডিসপ্লে-র আবিষ্কার হল ২০১৮-তে এই উল্লেখযোগ্য গবেষণার ফল পেলেন,শিয়রে জুড়ল নোবেল সম্মাননার পালক।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পি স্মিথের এই নোবল জয়ে স্বাভাবিকভাবেই ডগমগ।প্রিয় ছাত্র তথা অধ্যাপককে পুরস্কার স্বরূপ ২৫০হাজার কোটি ডলার প্রদান করা হল। এহেন পুরস্কারেঅভিভূত পি স্মিথ ছাত্রপ্রিয়তার নয়া নজির রাখলেন, গোটা টাকাটাই তিনি পড়ুয়াদের উন্নয়নে দান করে দিলেন। রসায়নে গবেষণাগার যেমন তাঁকে চিরকাল মনে রাখবে,তেমনই তিনি আদরণীয় থাকবেন মিসৌরি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া,শিক্ষক কর্তৃপক্ষ মহলে।