কাঠমাণ্ডু: চিনের প্ররোচনায় পা দিয়েছেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। সেই উসকানির জেরেই ভারত বিরোধী একের পর এক পদক্ষেপ নিয়েছেন। নিজেই ডেকে এনেছেন নিজের জীবনের সব থেকে বড় বিপর্যয়। এখন দলের অভ্যন্তরেই ওলির পদত্যাগের দাবি উঠছে। নেপালের কমিউনিস্ট পার্টির শীর্ষ নেতা থেকে রাষ্ট্রপতি, কারও সঙ্গে বৈঠক করে কোনও লাভ হচ্ছে না। এপাশে ‘ বন্ধু’ ওলির টালমাটাল গদি সামলাতে আসরে নেমেছে চিন।
গত কয়েকদিন হল, নেপাল সরকার একের পর এক ভারত বিরোধী কার্যকলাপ শুরু করেছে। এতদিনের সুসম্পর্ককে উড়িয়ে ভারতের অংশকে নিজেদের বলে দাবি করা হোক অথবা ভারতে বাঁধ নিয়ন্ত্রণে বাধা দেওয়া। তখন থেকেই বিভিন্ন মহলের থেকে মনে করা হচ্ছিল, চিনের উসকানিতে নেপাল এই ধরনের কাজ করেছে। সেই অভিযোগে সরব হয়েছে নেপালের শাসক। শাসক দলের অভ্যন্তর থেকেই প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি উঠতে শুরু করেছে। নেপাল কমিউনিস্ট পার্টিতে এখন সিংহভাগ নেতাই ওলির পদত্যাগের দাবি সরব। দলের অন্যতম শীর্ষ নেতা তথা নেপালের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কুমার দহল ওরফে প্রচণ্ড-ও ওলির পদত্যাগ চাইছেন।
পরিস্থিতি সামাল দিতে মঙ্গলবার প্রচণ্ডের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী ওলি। এরপর বুধবার স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠক ডাকা হয়। কিন্তু হঠাৎ করেই সেই বৈঠক বাতিল করে দেওয়া। স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠকে আগেও অনুপস্থিত থেকেছেন প্রধানমন্ত্রী। স্ট্যান্ডিং কমিটির বেশিরভাগ ওলির পদত্যাগ করছেন। তাই স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠক এড়িয়ে চলছে। তবে গদি ছাড়তে রাজি নন কেপি শর্মা ওলি। প্রয়োজনে ২০১৮ সালে এক হওয়া কমিউনিস্ট পার্টি ভেঙে দিতেও রাজি তিনি।
ওলির পাশে দাঁড়িয়েছে চিন। চিনের দূতাবাস থেকে পরিস্থিতি সামাল দিতে কমিউনিস্ট পার্টির বেশ কিছু নেতা মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন বলে জানা গিয়েছে। তবে সেই আলোচনা ফলপ্রসূ হয়নি বলেই শোনা যাচ্ছে। যদিও আগ বাড়িয়ে চিনের এই তৎপরতায় নতুন করে বিতর্কও তৈরি হয়েছে নেপালে।