ম্যানিলা: ভারতের মহারাষ্ট্রে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা সব থেকে বেশি। সব থেকে বেশি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন মুম্বইয়ে। কিন্তু মুম্বইয়ের ধারাভিতে করোনা আক্রান্তের হদিশ পাওয়া যায়। সেই সময় মহারাষ্ট্র প্রশাসনের ঘুম উড়ে যায়। এশিয়ার সব থেকে বড় ও ঘিঞ্জি বস্তি।ফলে সেখানে দ্রুত করোনা ছড়িয়ে পরার আশঙ্কা ছিল। সেখানে করোনা নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে। আর তাই দেখে উদ্বুদ্ধ হয়েছে ফিলিপিন্স। নিজেদের দেশে করোনা সংক্রমণ রুখতে ধারাভি মডেল অনুসরণ করতে চলেছে ম্যানিলা।
আরও পড়ুন- পৃথিবীর চৌম্বকীয় ক্ষেত্রে ফাটল ভেঙে দু’টকুরো, বড় বিপদের ইঙ্গিত নাসার
ম্যানিলার বস্তিতে দ্রুত করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে। পরিস্থিতি ক্রমেই ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। সেখানে পরিস্থিতি এতটাই খারাপ, কঠোর হাতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ না করলে আরও অবনতি হবে। সেক্ষেত্রে ফিলিপিন্স প্রশাসন ধারাভি মডেলের ওপর ভরসা করছে।বৃহন্মুবই প্রশাসনের সঙ্গে এই বিষয়ে ম্যানিলা প্রশাসন ইতিমধ্যে কথা বলেছে। কীভাবে, কোন পদ্ধতিতে ধারাভিতে করোনা নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে, তার তথ্য মুম্বই ম্যানিলাকে দিয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন- মুহূর্তের প্রতিচ্ছায়া নাকি প্রতিবিম্বিত মুহূর্ত? আজ বিশ্ব ফোটোগ্রাফি দিবস
এশিয়ার বৃহত্তম বস্তিতে যে হারে সংক্রমণ বাড়ছিল তাতে চিন্তায় ছিল প্রশাসন। তবে চার ‘টি’ অর্থাৎ ট্রেসিং, ট্র্যাকিং, টেস্টিং ও ট্রিটিং, এই মন্ত্রেই এই অসাধ্য সাধন করা সম্ভব হয়েছে। ধারাভিতে সংক্রমণ এতটাই কমানো সম্ভব হয়েছে যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও এই কথা স্বীকার করেছে। হু-এর প্রধান টেড্রস আধানম ধারাভির উদাহরণ নিয়ে বলেছেন, কড়া নজর রাখলে সংক্রমণ কমানো সম্ভব। ধারাভি তা করে দেখিয়েছে।