ঢাকা: বিয়ে মিটেছিল সুষ্ঠু ভাবেই, কিন্তু তাল কাটল বৌভাতের দিন। উৎসবের আমেজে ফুরফুরে আবহাওয়া হঠাৎই পরিণত হল বিষাদের করুণ সুরে। অনুষ্ঠান বাড়িতে ঘর ভরতি লোকের মাঝেই সামান্য বিষয়কে কেন্দ্র করে হাতাহাতিতে বেঘোরে প্রাণ হারালেন এক ব্যক্তি।
দুর্ভাগ্যজনক এই ঘটনাটি ঘটেছে বাংলাদেশের বরিশালের রফিয়াদি গ্রামে।জানা গেছে মৃত ব্যক্তি সম্পর্কে বরের কাকা হন। এদিন বরপক্ষের সঙ্গে কন্যা পক্ষের সংঘর্ষে হঠাৎ বিয়ে বাড়ির পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। আর সেই সংঘর্ষেই প্রাণ হারান আজদার মীর নামক ওই ব্যক্তি। ঠিক কী বিষয়কে কেন্দ্র করে বিয়ে বাড়িতে সংঘর্ষ হয়েছিল? সূত্রের খবর, কিছুদিন আগে বরিশালে। সজিব মীরের সঙ্গে রুনা বেগমের বিয়ে হয়। তাঁদের বিয়ের বউভাতের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে কনেপক্ষের প্রায় পঞ্চাশজন আত্মীয়-স্বজন বরের বাড়িতে আসেন। খাওয়াদাওয়া চলাকালীন এক পর্যায়ের পরিবেশনে পাতে কিছু মাংস পড়ে। কম মাংস দেওয়াকে কেন্দ্র করেই দুই পক্ষের মধ্যে শুরু হয় বচসা।
দুই তরফের আত্মীয় স্বজনের মধ্যে প্রথমে কথা কাটাকাটি শুরু হলেও ক্রমে তা হাতাহাতির রূপ নেয়। শেষে এই সংঘর্ষেই প্রাণ হারান বরের ৬৫ বছর বয়সী কাকা আজদার মীর। স্থানীয় পুলিশ সূত্রের খবর, লাঠির আঘাতেই মৃত্যু হয়েছে ওই ব্যক্তির। ঘটনাস্থলেই তিনি প্রাণ হারান। বর ও কন্যা পক্ষের বচসায় প্রথমে মধ্যস্থতা করার চেষ্টা করেছিলেন স্থানীয় প্রতিবেশীরা। কিন্তু পরিস্থিতি ক্রমে হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে দেখে থানায় খবর পাঠান তাঁরা। বাংলাদেশ পুলিশ সূত্রে খবর অনুযায়ী, এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয় নি। এমনকি কারোর বিরুদ্ধে কোনোরকম মামলাও দায়ের করা হয় নি। মাংস দেওয়ার মতো সামান্য বিষয়কে কেন্দ্র করে এই মর্মান্তিক পরিণতি এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।