করাচি: একের বলে ভোলবদল৷ ৪৮ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে নয়া বিবৃতি জারি পাক প্রশাসনের৷ রবিবার পাকিস্তান সরকারের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, জইশের সদর দফতর দখল করা হয়নি৷ রুটিং মাফিক অভিযানে গিয়েছিল পাক পুলিশ৷ এই সঙ্গে তল্লাসি অভিযানের কোনও যোগসূত্রে নেই বলেও জানানো হয়েছে৷ এই নিয়ে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম ভুল খবর প্রকাশ করছে বলেও পাক প্রশাসনের তরফে জানানো হয়৷
পুলওয়ামা হামলার পর গত শুক্রবার পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের জইশ-ই-মহম্মদের সদর দপ্তরে তালা ঝোলানে হয়েছে বলে পাক পুলিশের তকফে দাবি জানানো হয়৷ পাঞ্জাব প্রদেশের জইশ-ই-মহম্মদের সদর দপ্তর দখল নেওয়া হয় বলেও স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানানো হয়৷ তল্লাসি করা হয় বলে জানানো হয়৷ পাক সংবাদ মাধ্যম সূত্রে এই খবর প্রকাশিত হওয়ার পর ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই ভোলবদল করে পাক সরকারের তরফে নয়া বিবৃতি জারি করে গোটা ঘটনা অস্বীকার করা হয়৷
Pakistan Govt: Govt of Punjab has taken over control of a campus (Jaish-e-Mohammed headquarters) comprising Madressatul Sabir & Jama-e-Masjid Subhanallah in Bahawalpur pic.twitter.com/ssYA5xZgbW
— ANI (@ANI) February 22, 2019
পুলওয়ামা হামলা ‘কাপুরুষোচিত’, জইশের নাম নিয়ে ইতিমধ্যেই কড়া বার্তা দিয়েছে নিরাপত্তা পরিষদ৷ কড়া ভাষায় নিন্দা জানানো হয় রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের তরফে৷ বিবৃতিতে উঠে এসেছে, পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদী সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ ও তার প্রধান মাসুদ আজহারের নাম৷ জম্মু ও কাশ্মীরের আত্মঘাতী হামলা নিয়ে বিবৃতি গিয়ে নিরাপত্তা পরিষদ জানিয়েছে, ১৪ ফেব্রয়ারি জম্মু ও কাশ্মীরে আত্মঘাতী হামলায় ৪০ জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন অনেকে। এই ঘটনার দায় স্বীকার করেছে জইশ-ই-মহম্মদ। ঘৃণ্য ও কাপুরুষোচিত এই ঘটনার সবচেয়ে কড়া ভাষায় নিন্দা করছে নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরা৷ এই বিবৃতির পরই তৎপর হয়ে ওঠে পাক প্রশাসন৷
অন্যদিকে, পুলওয়ামায় আধাসেনার কনভয়ের উপর হামলা, আর প্রবল আন্তর্জাতিক চাপ। শেষ পর্যন্ত ঢোঁক গিলতে বাধ্য হল পাকিস্তান। মুম্বই হামলার মাস্টারমাইন্ড হাফিজ সইদের সংগঠন জামাত-উদ-দাওয়াকে নিষিদ্ধ করল তারা৷
একইসঙ্গে জামাতের দাতব্য শাখা সংগঠন ফালাহ-এ-ইনসানিয়তকেও নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রক এই খবর জানিয়েছে। মন্ত্রকের মুখপাত্র এক বিবৃতিতে জানান, প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের পৌরোহিত্যে জাতীয় নিরাপত্তা কমিটি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অর্থাৎ তামাম দুনিয়ার চাপে অবশেষে মান্যতা পেল ভারতের দীর্ঘদিনের দাবি। ২৬/১১ হামলা এখনও ভারতের মাটিতে সন্ত্রাসের দগদগে ঘা হয়ে রয়ে গিয়েছে। সেই ২০০৮ সাল থেকেই নয়াদিল্লি হাফিজ সইদের বিরুদ্ধে একের পর এক প্রমাণ দাখিল করে গিয়েছে। তাতেও কাজের কাজ কিছু হয়নি। জামাত-উদ-দাওয়াকে নিষিদ্ধ করা তো দূরঅস্ত, হাফিজের বিরুদ্ধে লোক দেখানো কিছু নাটক ছাড়া কোনও ব্যবস্থাই নেয়নি ইসলামাবাদ৷