পৃথিবীর ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর জায়গার সন্ধান দিলেন গবেষণার

পৃথিবীর ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর জায়গার সন্ধান দিলেন গবেষণার

মরোক্কো:  ১০ কোটি বছর আগে সাহারার রূপ ছিল অতীব ভয়ঙ্কর৷ হিংস্র পশু, উড়ন্ত সরীসৃপ এবং কুমীরের মতো শিকারি প্রাণি সাহারাকে করে তুলেছিল বিশ্বের সবচেয়ে বিপদসংকুল জায়গায়৷ দক্ষিণ-পূর্ব মরোক্কোয় ক্রিটেসিয়ায় শিলা যুগ থেকে মেরুদণ্ডী প্রাণিদের জীবাশ্ম নিয়ে গবেষণার পর এই তথ্যটি তুলে ধরেছেন একদল আন্তর্জাতিক বিজ্ঞানী৷ 

সম্প্রতি তাঁদের এই পর্যবেক্ষণটি প্রকাশিত হয়েছে  ‘জুকিস’ নামে একটি জার্নালে৷ এই সমীক্ষার প্রধান পর্যবেক্ষক তথা পোর্টসমাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োলজির সহ অধ্যাপক ড. নিজার ইব্রাবিম বলেন, এই পর্যবেক্ষণ অফ্রিকার ডায়নোসর যুগের একটি নতুন দরজা খুলে দিল৷ 

১০০ মিলিয়ন বছর আগে নদী ঘেরা এই অঞ্চলটি ছিল বিভিন্ন প্রজাতির জলজ এবং স্থলজ প্রাণিতে ভরা৷ বিজ্ঞানীরা এই অঞ্চলের তিনটি বৃহদাকার জীবাশ্ম নিয়ে গবেষণা চালান৷ এর মধ্যে রয়েছে তীক্ষ্ণ দাঁতওয়ালা কারচারডোন্টোসরাস ডায়নোসর (আট মিটার লম্বা, শক্ত চোয়াল এবং প্রায় আট ইঞ্চি লম্বা দাঁতযুক্ত), ডেল্টাড্রোমাস ডায়নোসর (আট মিটার লম্বা, ব়্যাপটর পরিবারের সদস্য, শরীরের পিছনের দিক ছিল অস্বাভাবিক সরু) এবং শিকারি কুমীরের জীবাশ্ম৷ ড. ইব্রাহিম বলেন, এই জীবাশ্মগুলি দেখার পর কোনও সন্দেহ নেই যে, এটা পৃথিবীর একটি অন্যতম ভয়ঙ্কর জায়গা ছিল৷ 

পোর্টসমাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও এক অধ্যাপক ডেভিড মার্টিল বলেন, এই অঞ্চলের নদীগুলিতে সিলাকান্থ এবং লাংফিসের মতো প্রচুর পরিমাণে মাছ ছিল৷ বর্তমান দিনের তুলনায় প্রায় চার-পাঁচ গুণ বড় ছিল সেই যুগের সিলাকান্থ মাছ৷ ছিল প্রচুর পরিমাণে হাঙর৷ শিকারি হলেও, এদের দেহ ছিল খুবই চকচকে৷  ডেট্রয়েট, শিকাগো, মন্টোনা, পোর্টসমাউথ (ব্রিটেন), লেইসেস্তার, কাসাব্লানকা (মরোক্কো) এবং ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা প্রথম এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেছেন৷ আলোকপাত করেছেন আফ্রিকার প্রাচীন অতীতে৷ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four × 5 =