আজকের যুগে মেয়েরা কোনো অংশেই পিছিয়ে নেই পুরুষদের থেকে। সমস্ত রকম কাজেই এজকাল মেয়েদের দেখা যায় পুরুষদের সাথে সমান দক্ষতায় কাজ করতে। অস্ত্র হাতে দেশকে রক্ষা করতেও পিছ পা হন না আজকের নারীরা। সেনাবাহিনীতে নারীদের যথেষ্ট অংশগ্রহণ রয়েছে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে নারীদের নিয়ে বিশাল সেনাবাহিনী গঠন করা হয়েছে। এরা সম্মুখ যুদ্ধ থেকে শুরু করে বাহিনীর বিভিন্ন অংশের সক্রিয় সেনা। এক সমীক্ষায় দেখানো হয়েছে, কোন দেশের নারী সেনারা কতটা সুন্দরী। দেখে নিন সুন্দরী নারী সেনাদের টপ টেন চার্ট।
ইউএস আর্মি : তালিকার শেষে আছেন আমেরিকার নারী সেনারা। অনেক আগে থেকেই এ দেশের নারীরা সেনাবাহিনী ও যুদ্ধে অংশ নিচ্ছেন। বর্তমানে তারা পুরুষ সেনাদের পাশাপাশি যুদ্ধ করেন। ২০১২ সালের পরিসংখ্যানে বলা হয়, ইউএস আর্মির ১৪ শতাংশ নারীদের দখলে যায়। আর এ সুন্দরী নারীরা কিন্তু দারুণ লড়াকু।
চেক রিপাবলিক আর্মি : দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে পর্যন্ত চেকোস্লোভাকিয়ায় নারীদের সেনাবাহিনীতে অংশ নেওয়ার সুযোগ ছিল না। তবে ওই যুদ্ধে মেডিক্যাল সেনা হিসেবে কাজ করেছেন তারা। পরবর্তীতে ব্যাপক হারে সেনায় অংশ নেন নারীরা। আর সুন্দরী সেনাদের তালিকার নবম স্থান দখল করেছে।
পোলিশ আর্মি : বর্তমানে পোল্যান্ডের সেনাবাহিনীতে প্রায় আড়াই হাজার নারী সেনা রয়েছেন। আর্মি, নেভি, এয়ার ফোর্স এবং স্পেশাল ফোর্স দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন তারা। আর সুন্দরী সেনাদের তালিকায় অষ্টম স্থানে রয়েছেন।
ব্রিটিশ আর্মি : আকর্ষণীয় নারী সেনাদের তালিকায় ব্রিটিশ নারীরা সপ্তম স্থান অধিকার করেন। ১৯৯০-এর দশকে আর্মড ফোর্সে অংশ নেওয়া শুরু করেন তারা। বর্তমানে তারা আর্মির কম্বাট ইউনিট, রয়াল মেরিনস এবং রয়াল এয়ার ফোর্স রেজিমেন্টে কাজ করছেন।
পাকিস্তান আর্মি : সুন্দরী সেনাদের তালিকায় ষষ্ঠ স্থান দখল করেছেন পাকিস্তানের নারীরা। বেশ ভয়ংকর সব পরিস্থিতি মোকাবেলা করেন তারা। ১৯৪৭ সাল থেকে সেনাবাহিনীতে অংশ নেওয়া শুরু হয় তাদের।
ইসরায়েলি আর্মি : সম্মুখ যুদ্ধে অংশ নেন এ দেশের নারী সেনারা। পাশাপাশি সুন্দরী বাহিনীর তালিকায় আছেন পঞ্চম স্থানে। ইসরায়েলের নারীদের ১৮ বছর পূর্ণ হওয়ার পর সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে চাপ প্রয়োগ করা হয়। কাজেই তাদের সেনাবাহিনী বহু সুন্দরীর অংশ রয়েছে।
গ্রিক আর্মি : বহু সুন্দরীদের অংশগ্রহণে গ্রিসের নারী সেনাবাহিনী আছে চতুর্থ অবস্থানে। প্রত্যেক পুরুষকে আঠারো পূর্ণ হওয়ার পর বাধ্যতামূলকভাবে ৯ মাস সেনাবাহিনীতে কাজ করতে হয়।
অস্ট্রেলিয়ান আর্মি :আর্মড ফোর্সে নারীদের প্রথম অংশগ্রহণ ঘটে ১৮৯৯ সালে। তবে তারা নার্সিং ইউনিটে অংশ নিতেন। ১৯৪১-‘৪২ সালের মধ্যে সশস্ত্রবাহিনীর প্রতিটি অংশে নারীরা প্রবেশ করেন। বর্তমানে সুন্দরী সেনাবাহিনীর তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে দেশটি।
রাশিয়ান আর্মি : বলা হয়, এই বিশ্বে রাশিয়ার সব নারীরাই সুন্দরী। কাজেই তাদের সেনাবাহিনীতে যে অংশ নেন না কেন, তিনি সুন্দরীই হবেন। এ দেশের সেনাবাহিনীতে নারীরা অতি গুরুত্বপূর্ণ সব দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। আর তালিকার দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান করছেন।
রোমানিয়ান আর্মি : পূর্ব ইউরোপের দেশটির সেনাবাহিনীতে আকর্ষণীয়াদের আনাগোনা ঘটেছে। তাদের সেনাবাহিনীতে বহু সুন্দরী নারীদের সমন্বয় দেখা যায়। তাই অনায়াসে এক নম্বরে অবস্থান করছেন রোমানিয়ান নারীরা।