শৈশবের হারানো মানিব্যাগ ফিরে এল বৃদ্ধ বয়সে, সত্যি বটে?

প্রতিটা মানুষের কাছেই তার শৈশব হচ্ছে সব থেকে দামী। সে ছেলেবেলা হোক বা মেয়েবেলা, সেই স্মৃতি সবসময়ই অমলিন রাখতে চায় মন, আর মানুষটাও। সেখানেই তো একমাত্র নির্ভেজাল মানুষটিকে খুঁজে পাওয়া যায়। পরবর্তীতে শুধু টিকে থাকতে গিয়ে নিজের মধ্যে অন্য একটা চরিত্রকে লালন করতে হয়। এভাবেই চলে আসছে। কিন্তু ছেলেবেলার প্রিয় কোনও জিনিসের প্রতি দুর্বলতা থেকেই

শৈশবের  হারানো মানিব্যাগ ফিরে এল বৃদ্ধ বয়সে, সত্যি বটে?

প্রতিটা মানুষের কাছেই তার শৈশব হচ্ছে সব থেকে দামী। সে ছেলেবেলা হোক বা মেয়েবেলা, সেই স্মৃতি সবসময়ই অমলিন রাখতে চায় মন, আর মানুষটাও। সেখানেই তো একমাত্র নির্ভেজাল মানুষটিকে খুঁজে পাওয়া যায়। পরবর্তীতে শুধু টিকে থাকতে গিয়ে নিজের মধ্যে অন্য একটা চরিত্রকে লালন করতে হয়। এভাবেই চলে আসছে। কিন্তু ছেলেবেলার প্রিয় কোনও জিনিসের প্রতি দুর্বলতা থেকেই যায় যতই বদলের পরত লাগুক বহিরঙ্গে। আর সেই প্রিয় জিনিস হারানোর দুঃখ বুকে বাজে। তবে কোনওদিন সময় যদি অবাক করে দেয়, শিশুকালে হারিয়ে যাওয়া প্রিয় পার্স ফিরে পান জীবন সায়াহ্নে এসে তখন কেমন লাগবে?

সে তো এক অনন্য অনুভূতি। কোনও গল্পের প্রেক্ষাপট নয় এমনটাই ঘটেছে বেটি জুন সিসম নামের এক মহিলার সঙ্গে। ৮৯ বছরের বৃদ্ধা বেটি জুন সিসম থাকেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিসৌরি প্রদেশে। তিনি যখন স্কুলে পড়তেন সেই সময় স্কুলের পরিচয়পত্র-সহ তাঁর ওয়ালেট হারিয়ে যায়। সেই ঘটনার ৭৫ বছর পর সম্প্রতি সেই হারিয়ে যাওয়া ওয়ালেট ফিরে পেলেন ওই মহিলা। অপ্রত্যাশিত ভাবে ফিরে পাওয়া সেই ওয়ালেট তাঁকে ফিরিয়ে দিল স্কুল জীবনের স্মৃতি। বর্তমানে চেস্টারফিল্ডে থাকলেও স্কুল জীবনে সিসম থাকতেন সেন্ট্রালিয়ায়। তিনি পড়াশোনা করতেন ওল্ড সেন্ট্রালিয়া হাই স্কুলে। সে সময়ই হারিয়ে যায় তাঁর ওয়ালেট। সম্প্রতি পরিচর্যার জন্য সেই স্কুল বিল্ডিং মেরামতির কাজ শুরু হয়। তা করতে গিয়েই পাওয়া যায় সিসমের ওয়ালেট।ওই স্কুলের সেথ বাল্টজেল জানিয়েছেন, সিসম-সহ আরও ১৪ জনের ওয়ালেট পাওয়া গিয়েছে। ওয়ালেটগুলি খুঁজে পাওয়ার পর সেগুলির ছবি-সহ ফেসবুকে পোস্ট করেন বাল্টজেল। পরে তিনি নিজেই যোগাযোগ করেন সিসমের বাড়ির লোকের সঙ্গে। তার পর তাঁর হাতে ফিরিয়ে দেন সেই ওয়ালেট।

হারিয়ে যাওয়া ওয়ালেট ফিরে পেয়ে খুশি ৮৯ বছরের সিসমও। তিনি বলেছেন, ‘‘স্কুল পড়ার সময় লাল রঙের ওয়ালেট হারিয়ে যাওয়ার কথা আমার এখনও মনে আছে। কিন্তু সেই ওয়ালেট ফিরে পাওয়ার আশা আমি আর করিনি। তাই স্কুল জীবনের ওয়ালেট ফিরে পেয়ে আমি খুশি।’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *