চলার আনন্দ কেড়েছে ল্যান্ডমাইন, কাঠের পা পেয়েই নাচে মত্ত এই শিশু

আজ বিকেল: বছর চারেকের এক খুদে মনের আনন্দে নেচে চলেছে, চারপাশে ওষুধ, পথ্য, বেড, রোগী, নার্স ডাক্তারদের ভিড়। কোনও কিছুই শিশুটিকে তার নাচ থেকে বিরত করতে পারছে না। সবাই বেশ আগ্রহ ভরেি তার নাচ দেখছেন। এমনিতেই হাসপাতাল মানে কান্না, দুঃখ, যন্ত্রণা মিশেল। সেখানে এই একরত্তির নাচ যেন অক্সিজেনের ভূমিকা নিয়েছে। এই পর্যন্ত তো ঠিকই ছিল,

চলার আনন্দ কেড়েছে ল্যান্ডমাইন, কাঠের পা পেয়েই নাচে মত্ত এই শিশু

আজ বিকেল: বছর চারেকের এক খুদে মনের আনন্দে নেচে চলেছে, চারপাশে ওষুধ, পথ্য, বেড, রোগী, নার্স ডাক্তারদের ভিড়। কোনও  কিছুই শিশুটিকে তার নাচ থেকে বিরত করতে পারছে না। সবাই বেশ আগ্রহ ভরেি তার নাচ দেখছেন। এমনিতেই হাসপাতাল মানে কান্না, দুঃখ, যন্ত্রণা মিশেল। সেখানে এই একরত্তির নাচ যেন অক্সিজেনের ভূমিকা নিয়েছে। এই পর্যন্ত তো ঠিকই ছিল, ঘটনাস্থল আফগানিস্থানের অর্থোপেডিক হাসপাতাল। যেটির প্রতিষ্ঠা করেছে ইন্টারন্যাশনাল রেডক্রস সোসাইটি।

আর ওই শিশু, তার তো যন্ত্রণার শেষ নেই। আফগানিস্থানের লোগারের বাসিন্দা সে। এক ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে একটি পা হারিয়ে ফেলে শিশুটি। তারপর মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে দীবন ফিরে পেয়েছ, রেডক্রসের সহায়তায় মিলেছে প্রসথেটিক পা। তাইতো নতুন পা পেয়ে খুশিতে মত্ত হয়ে নাচতে লেগেছে। নিজের থেকে সাইজে বড় কুর্তা পরেও তার খুশি ধরে না।

ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে নার্স, রোগী ডাক্তার পরিবেষ্টিত খুদে নীল কুর্তা পরে দুহাত তুলে তালে তালে নাচছে। ব্যাকগ্রাউন্ডে কোনও গানের হালকা মিঠে সুর কানে আসছে। এই ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ হতেই ভাইরাল, প্রায় তিন লক্ষ ইউজার ইতিমধ্যে সেটি দেখে ফেলেছে, শেয়ার চলছে পটাপট। রক্ত, মৃত্যু, বুলেটের গন্ধ ছাপিয়ে প্রাণের স্পন্দন যেন বাঁচার ইঙ্গিতকেই সুস্পষ্ট করে তুলেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *