সংবাদ পাঠের পরিবর্তে বকেয়া বেতনের প্রচার করে শিরোনামে সঞ্চালক

সংবাদ পাঠের পরিবর্তে বকেয়া বেতনের প্রচার করে শিরোনামে সঞ্চালক

জাম্বিয়া: সংবাদ পাঠ করার বদলে টিভি চ্যানেলটি তাঁর বেতন দেয়নি বলে খবর পড়লেন এক সঞ্চালক৷ ঘটনাটি ঘটেছে আফ্রিকার জাম্বিয়ায়।

সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, গত শনিবার সন্ধ্যায় খবরের বুলেটিন পড়তে আসেন ওই ব্যক্তি৷ ওই সঞ্চালকের নাম কাবিন্দা কালিমিনা। তিনি কেবিএন টিভি নামের একটি চ্যানেলে কর্মরত৷ প্রধান প্রধান খবরের শিরোনাম পড়াও শুরু করেন তিনি। খবরের শিরোনাম পড়তে পড়তে হঠাৎই সংবাদের বিষয় পরিবর্তন করে টিভি চ্যানেলের কর্মীদের বেতন বকেয়া রয়েছে বলে জানান তিনি৷ টিভি চ্যানেলের কর্মীদের বেতন না দেওয়ার তথ্য প্রচারের ঘটনা বেশ আলোড়ন ফেলে দেয় দেশজুড়ে। কাবিন্দার খবর পড়ার একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।

ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে, অন্য দিনের মতো স্বাভাবিক ভাবেই খবর পড়তে শুরু করেন কাবিন্দা৷ শীর্ষ সংবাদের শিরোনাম পাঠ করার পর কেবিএন টেলিভিশনের ওই সঞ্চালককে বলতে শোনা যায়, ‘প্রিয় দর্শক বন্ধু, নিউজের বাইরের একটি বিষয় বলছি৷ আমরা মানুষ। আমাদেরও বেতনের টাকায় সংসার চলে৷ কিন্তু দুঃখের বিষয় কেবিএন আমাদের বেতন দেয়নি। শ্যারন সহ অন্যান্যরা এবং আমি নিজেও বেতন পাইনি। আমাদের বেতন শীঘ্রই মিটিয়ে দিতে হবে।’

এই সাহসী পদক্ষেপের জন্য চাকরি গিয়েছে কাবিন্দার৷ টিভি চ্যানেলটি তাঁকে বরখাস্ত করেছে। এরপরও কাবিন্দা ফেসবুকে একটি ভিডিও শেয়ার করে একটি ক্যাপশনে লেখেন, ‘হ্যাঁ, আমি টিভিতে লাইভ খবর পড়তে গিয়ে এটা করেছি। কারণ, অনেক সাংবাদিক কথা বলতে ভয় পান। সাংবাদিকদের কথা না বলতে ভয় পাওয়া কোনও কারণ হতে পারে না।’ ভিডিওটি হাজার হাজার মানুষ যে শুধু দেখেছেন তাই নয়, পোস্টও করেছেন। ফেসবুকে অনেকেই ওই সাহসী পদক্ষেপের জন্য কাবিন্দার প্রশংসা করেছেন।

একই সঙ্গে টেলিভিশনের কর্মীদের বেতন মেটানোর দাবি জানিয়েছেন। তবে কেবিএন টিভি কর্তৃপক্ষের পালটা অভিযোগ, কাবিন্দা মদ্যপ অবস্থায় সংবাদ পাঠ করতে বলেছিলেন। তাঁর আচরণ নিন্দনীয়। ফেসবুকে একটি বিবৃতি পোস্ট করে কেবিএন টিভির কার্যনির্বাহী প্রধান কেনেদি মাম্বুয়ে বলেন, ‘সংবাদ বুলেটিন পড়ার সময় আমাদের একজন চুক্তিভিত্তিক সঞ্চালকের এহেন আচরণে কেবিএন টিভি কর্তৃপক্ষের অধীনে থাকা আমরা সবাই অবাক।’ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

seven + thirteen =