নিউ ইয়র্ক: ব্ল্যাক হোল বা কৃষ্ণগহ্বর, জ্যোতির্বিজ্ঞানের কাছে এখনও একটি বিষ্ময়৷ এর তল পেতে রীতিমতো কালঘাম ছুটেছে বিজ্ঞানীদের৷ তবে সম্প্রতি ব্রহ্মাণ্ডে এমন এক কৃষ্ণগহ্বরের খোঁজ পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা যার আকার ক্রমাগত বেড়ে চলেছে৷ যার ভর সূর্যের ভরের তুলনায় ৩৪ বিলিয়ন গুণ বেশি৷ তার চেয়েও বড় কথা হল, প্রতিদিন সূর্যের সামান আকারের একটি করে নক্ষত্র গিলে খাচ্ছে এই কৃষ্ণ গহ্বর৷ মাত্র এক মাসের মধ্যেই প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে এর খাবারদাবারের পরিমাণ৷
এই বিশালাকার ব্ল্যাক হোল জে২১৫৭ মহাকাশের বৃহত্তম কৃষ্ণগহ্বর অ্যাবেল ৮৫-এর চেয়ে এক ধাপ পিছনে রয়েছে৷ সবচেয়ে বড় ব্ল্যাক হোলটির ভর সূর্যের ভরের চেয়ে ৪০ বিলিয়ন গুণ বেশি৷ পৃথিবী থেকে এই ব্ল্যাক হোলটির দূরত্ব ১.২ বিলিয়ন আলোকবর্ষ৷ মিল্কিওয়ের কেন্দ্রে অবস্থিত ব্ল্যাক হোল স্যাজিটেরিয়াল এ*-র তুলনায় এটি ৮,০০০ গুণ বড়৷ রয়্যাল অ্যাস্ট্রোনমিকাল সোসাইটিতে প্রকাশিত এই সমীক্ষার অন্যতম সদস্য ক্রিস্টোফার ওঙ্কার বলেন, ‘‘যদি মিল্কিওয়ের ব্ল্যাক হোল এই আবার নেয়, তাহলে আমাদের ছায়াপথের দুই-তৃতীয়াংশ নক্ষত্রকেই তা গিলে ফেলবে৷’’ একটা কৃষ্ণগহ্বর বা ব্ল্যাক হোল কতটা খেতে পারে, তা নির্ভর করে এর আয়তনের উপর৷ সেই দিক থেকে এই ব্ল্যাক হোলটি আকারে বিশাল৷ ফলে দিনে একটি করে সূর্য সম নক্ষত্রকে গিলে ফেলছে অনায়াসে৷ দেখা গিয়েছে, প্রতি ১০ লক্ষ বছরে ১ শতাংশ করে আকারে বাড়ছে এই ব্ল্যাক হোল৷
উল্লেখ করা প্রয়োজন, এই কৃষ্ণগহ্বর মহাবিশ্বের এমন একটি বস্তু যা এত ঘন সন্নিবিষ্ট এবং এর ভর এত বেশি যে এর মহাকর্ষীয় শক্তি কোন কিছুকেই তার ভিতর থেকে বের হতে দেয় না, এমনকি তড়িৎচুম্বকীয় বিকিরণকেও নয়। প্রকৃতপক্ষে ব্ল্যাক হোলের মহাকর্ষীয় বলের মান এত বেশি হয়ে যায় যে, এটি মহাবিশ্বের অন্য সকল বলকে অতিক্রম করে। ফলে এর মধ্যে থেকে কোন কিছুই পালাতে পারে না।