মহিলাদের স্তন কেটে বিক্রি করত এই অপরাধী

আজ বিকেল: মহিলাদের স্তন কেটে বিক্রি করাই ছিল তার কাজ, সে আর কেউ নন কেনিয়ার কুখ্যাত অপরাধী বোনিফেস কেম্যানইয়ানো। বহুদিন হল অপরাধ জগত থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছে কিমনিয়ানো, অপরাধের ভারে শাস্তিও ভোগ করেছে সে। তার অপরাধের ক্ষমা সত্যিই হয় না। সম্প্রতি কেনিয়ার স্থানীয় এক টিভি চ্যানেলে এসে নিজের অপরাধের ঝাঁপি খুলে বসে বোনিফেস কেম্যানইয়ানো, তখনই

মহিলাদের স্তন কেটে বিক্রি করত এই অপরাধী

আজ বিকেল: মহিলাদের স্তন কেটে বিক্রি করাই ছিল তার কাজ, সে আর কেউ নন কেনিয়ার কুখ্যাত অপরাধী বোনিফেস কেম্যানইয়ানো। বহুদিন হল অপরাধ জগত থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছে কিমনিয়ানো, অপরাধের ভারে শাস্তিও ভোগ করেছে সে। তার অপরাধের ক্ষমা সত্যিই হয় না। সম্প্রতি কেনিয়ার স্থানীয় এক টিভি চ্যানেলে এসে নিজের অপরাধের ঝাঁপি খুলে বসে বোনিফেস কেম্যানইয়ানো, তখনই জানা যায় টাকার জন্য কি নৃশংস কাজটাই না সে করেছে।

মহিলাদের স্তন কেটে বিক্রি করত এই অপরাধীনিজের মুখেই অপরাধের গল্প শোনালো উপস্থাপিকাকে। মূলত নিজে মাদক খেয়েই এমন নৃশংস কাজ করত, শিকার হিসেবে বেছে নিত যৌনকর্মীদের। প্রথমেই টোপ ফেলে যৌনকর্মীদের পাকড়াও করা হত। তারপর জনপধ থেকে অনেক দূরের কোনও এক নির্জন জায়গায় শিকারকে নিয়ে গিয়ে কাওয়ানো হত চড়া ডোজের মাদক। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই সে অজ্ঞান হয়ে গেলে, তার স্তনদ্বয় কেটে নিয়ে পালিয়ে যেত কেম্যানইয়ানো ও তার দলবল। তারপর চড়া দামে সেই স্তন বিক্রি হয়ে যেত। মূলত বরাত দিয়ে তাদের এসব কাজ করানো হত। কাজের অর্থমূল্যও ছিল লোভনীয়, তাই টাকার চাহিদার কাছে নৃশংসতাকে পাত্তাই দিতে চায়নি বোনিফেস কেম্যানইয়ানো। নাইরোবির বিভিন্ন প্রান্তে তারা ঘুরে বেড়ালেও বেশির ভাগ অপকর্ম করত কইনাঙ্গি স্ট্রিট এলাকায়।

শিকারকে নিয়ে যাওয়া নির্জন স্থানটি ছিল অত্যন্ত গোপনীয়। সেখানে শিকারকে নিয়ে গিয়ে প্রথমে ইনফ্লেক্সর নামে এক রাসায়নিক দিয়ে অচেতন করে দেওয়া হত। ফ্লেক্সর পেশির যন্ত্রণা উপশমের কাজে ব্যবহার হয়। এই ফ্লেক্সরের বেশি প্রয়োগে অজ্ঞান হয়ে যেতেন ওই মহিলা যৌনকর্মীরা। তারপর তাঁদের স্তন কেটে নেওয়া হত। কিমনিয়ানো নিজেই মাদক সেবনকারী। চড়া ডোজের মাদক ছাড়া তার সময় কাটত না, ঘুমও আসত না। দিনের পর দিন মাদক নিতে নিতে একটা সময় এমন হয় যে মাদক ছাড়া আর চলাফেরা করতে পারত না। ‘ব্লু মার্সেডিজ ড্রাগ’ বা ‘রেড ডেভিল পিল’ নেওয়ার পর যে কোনও কাজ করা যেতে পারে বলে দাবি তার। সে এই কাজ ছেড়ে দেওয়ার কিছুদিন পরেই, ২০১৬ সালে দলের অন্যরাও পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যায়। কেম্যানইয়ানোর দাবি, প্রথম দিকে এই ঘৃণ্য কাজ করাতে তার কোনওরকম খারাপলাগা কাজ করত না। কিন্তু তিনজন মহিলার স্তন একইভাবে কাটার পর আচমকাই বোধোদয় হয়, তারপর একদিন ঠিক করে ফেলে টাকার জন্য এই কাজ আর করবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five × two =