তাঁর চোখের ইশারায় চলছে নেপাল! প্রশাসনে ছড়ি ঘোরাচ্ছেন এই চিনা দূত

তাঁর চোখের ইশারায় চলছে নেপাল! প্রশাসনে ছড়ি ঘোরাচ্ছেন এই চিনা দূত

79403e49cb383cdeece4b4ece8f7a44c

কাঠমাণ্ডু:  ভারতের প্রায় ৪০০ বর্গ কিলোমিটার এলাকার উপর দাবি জানিয়ে নতুন মানচিত্র প্রকাশ করেছে নেপাল৷ সংসদে তা পাশও করিয়ে নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি৷ তাঁর এই পদক্ষেপে বিরোধীরা কোণঠাসা হয়ে পড়বে বলেই মনে করা হয়েছিল৷ কিন্তু আদতে তা হয়নি৷ বরং শাসক দলের অন্দরেই উঠেছে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাদের দাবি৷ এই রাজনৈতিক দোলাচলের মধ্যেই নেপালের রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে দেখা করে বিতর্কের আগুনে ঘৃতাহুতি দিলেন নেপালে নিযুক্ত চিনা রাষ্ট্রদূত হৌ ইয়াঙ্কি৷  

যদিও এ হেন বিতর্কে আগেও জড়িয়েছেন ইয়াঙ্কি৷ গত এপ্রিল-মে মাসে দলীয় কোন্দল এবং প্রধানমন্ত্রী ওলিকে ক্ষমতাচ্যুত করার দাবি প্রকাশ্যে আসার পরই শাসক দল নেপাল কমিউনিস্ট পার্টি (এনসিপি)-র নেতাদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেছিলেন চিনা রাষ্ট্রদূত৷ রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, পছন্দের কমিউনিস্ট নেতাদের একত্রিত করে ক্ষমতাসীন দল গঠনের পিছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে চিন৷  

গত এপ্রিল-মে মাসে প্রধানমন্ত্রী ওলি এবং এনসিপি চেয়ারম্যান পুষ্প কমল দাহাল ‘প্রচণ্ড’-র সঙ্গে হৌ এর বৈঠকের পর মনে করা হয়েছিল, হৌ প্রধানমন্ত্রীর অবস্থানকে তৎপর করার প্রয়াস শুরু করেছেন৷ মে মাসে প্রকাশিত এক রিপোর্টে বলা হয়েছিল, এনসিপি’র মধ্যে যে অন্তর্দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে, তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন হৌ৷ দলের নেতাদের ঐক্য বজায় রাখতে এবং বিবাদ এড়িয়ে চলার পরামর্শও দিয়েছিলেন তিনি৷  

a8492987b807e6ee8365c96d88769242

কাঠমাণ্ডু পোস্টের একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, নেপালের টালামাটাল রাজনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যে সরকারি আধিকারিক ও রাজনৈতিক নেতাদের নিয়ে হৌ-এর সাম্প্রতিক বৈঠকে উদ্বিগ্ন রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও প্রাক্তন কূটনীতিকরা৷ ওলি এবং প্রচণ্ডর মধ্যে উত্তেজনার পটভূমিকায় শাসকদলের সদস্য ভান্ডারীর ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে৷ কারণ, এর পরেই এনসিপি’র স্ট্যান্ডিং কমিটির ৪৪ জন সদস্যের মধ্যে ৩০ জনই প্রধানমন্ত্রী ও দলের চেয়ারম্যানের পদ থেকে ওলির পদত্যাগের দাবি তুলেছেন৷ ভান্ডারীর সঙ্গে হৌ-এর বৈঠক উস্কে দিয়েছে একাধিক প্রশ্ন৷ 

এদিকে, ওলি ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বন্ধু ভারতের সঙ্গে দূরত্ব বাড়িয়ে চিনের ঘনিষ্ঠ হয়েছে নেপাল৷ তবে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতির জন্য ওলিকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন শাসক দলের নেতারা৷ ওদিকে, ওলির রাজ্যপাট বাঁচাতে কোমর বেঁধেছে চিন৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *