ইসলামাবাদ, ২০জুন: ৩৩০ কেজি ওজন নিয়ে বাড়ি থেকে বেরতে পারছিলেন না, শেষপর্যন্ত সেনাবাহিনীর বদান্যতায় হাসপাতালে ভর্তি হলেন নুরহাসান। পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের সাকিবাবাদ এলাকার বাসিন্দা নুর দীর্ঘদিন ধরে ঘরবন্দি হয়েই ছিলেন। চেহারার কারণেই চলার শক্তি হারিয়েছিলেন, এত ওজন যে দরজা থেকে গলতে পারতেন না, এদিক দিন যত যাচ্ছিল ততই অসুস্থ হচ্ছিলেন নুর। উপায় না দেখে শেষপর্যন্ত সেনাবাহিনীতে খবর পাঠান তিনি। জেনারেল বাজওয়ার নির্দেশে সেনাজওয়ানরা নুর হাসানের বাড়িতে এসে দেওয়াল ভেঙে তাঁকে উদ্ধার করেন।
সেনার হেলিকপ্টার নুর হাসানকে সেনা হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়। পরে দেশের অন্য একটি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে বিশাল চেহারার ওই ব্যক্তিকে। পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যমের দাবি নুর হাসান সেদেশের সব তেকে বেশি ওজনের মানুষ তবে এর আগে সেদেশেই ৩৬০ কেজি ওজনের আরও একজনকে খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল। সেই ভদ্রলোকের নাম মহম্মদ, ল্যাপ্রোস্কোপি করে তাঁর ওজন কমে ১৬০ কেজি পর্যন্ত। পরে ২০০ কেজি ওজন নিয়ে বেঁচেছিলেন তিনি। তবে এখন নুর হাসানই হলেন সব থেকে বেশি ওজনের পাকিস্তানি। কিন্তু এই তথ্য যাচাইয়ের কোনও ব্যবস্থা এখনও পর্যন্ত নেওয়া হয়নি।
বলা বাহুল্য, নুর হাসানকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে পেরে খুশি পরিবারের অন্যা সদস্যরা। তাঁর অসুস্থতা চোখে দেখা যাচ্ছিল না। ওজন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই তিনি হাঁটাচলার শক্তি হারিয়ে ছিলেন। পরিবারের লোকজন দুর্ভাবনায় অস্থির হয়ে পড়লেও তাঁর সামনে কোনওভাবেই প্রকাশ করত না। একটা সময় পর সময় দুর্ভাবনার ক্ষতে প্রলেপ দিয়ে দেয়। ততদিনে বাড়ির বাইরে বেরনোর সব পথ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ঘরের দরজা দিয়ে পাহাড় প্রমাণ চেহারাটা তো গলেই না। শেষে অসম্ভবকেই সম্ভব করল পাকিস্তানের সেনাবাহিনী, সেনার দক্ষতায় দেওয়াল ভেঙে কপ্টার চড়ে হাসপাতালে গেলেন ৩৩০ কেজির নুর হাসান। তিনিও আশাকরি ওজন কমিয়ে বাড়ি ফিরতে পারবেন, এই ঘটনায় স্বস্তির ছাপ পরিবারের সদস্যদের চোখে মুখে।