থাইল্যান্ড: প্রথম এশিয়ান দেশ হিসেবে শুক্রবার ইতিহাস রচনা করল থাইল্যান্ড। জানা যাচ্ছে সম্প্রতি থাইল্যান্ডে গাঁজা চাষকে বৈধ বলে ঘোষণা করেছে। আসলে গাঁজাকে সকলে নেশা কিংবা মাদকদ্রব্য হিসেবে চিনলেও আসলে গাঁজা পাতায় রয়েছে একাধিক ঔষধি গুনাগুন। বহু দুরারোগ্য রোগের ওষুধ তৈরিতে ব্যবহার করা হয় এই গাছের পাতা। আর তাই চিকিৎসা বিজ্ঞানের কথা মাথায় রেখেই গাঁজা চাষকে বৈধ বলে ঘোষণা করল থাইল্যান্ড। এর সঙ্গেই বলা হয়েছে, চাষের পাশাপাশি উপকারী খাদ্য এবং পানীয় হিসেবেও গাঁজাকে এরপর থেকে বৈধ বলেই মানা হবে। তবে সর্বসমক্ষে প্রকাশ্য রাস্তায় গাঁজা সেবন এখনো নিষিদ্ধ থাইল্যান্ডের এবং এই ঘটনা শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলেই গণ্য করা হবে।
উল্লেখ্য ইতিমধ্যেই ইউরোপ এবং আমেরিকার বেশ কিছু দেশে গাঁজা চাষকে বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। চিকিৎসার জন্য গাঁজা গাছের বহুল ব্যবহার রয়েছে সে কথা মাথায় রেখেই আস্তে আস্তে একাধিক দেশ এই গাছের চাষকে বৈধতার স্বীকৃতি দিচ্ছে। কিন্তু ইউরোপ এবং আমেরিকার দেশ স্বীকৃতি দিলেও এশিয়ার কোন দেশেই বৃহস্পতিবারের আগে পর্যন্ত গাঁজা চাষকে বৈধতার স্বীকৃতি দেয়নি। কিন্তু সম্প্রতি বৃহস্পতিবারই এই সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী গোটা বিষয়টি প্রকাশ্যে এনেছেন। সূত্রের খবর থাইল্যান্ডের গাঁজা চাষের উপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় গাজার অবৈধ আমদানি বাড়ছিল উত্তরোত্তর। এই বেআইনি আমদানি রুখতেই গাঁজা চাষকে সরকারি সম্মতি দিল থাইল্যান্ড সরকার।
তবে সরকারিভাবে এখনো গঞ্জিকা সেবনে নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে থাইল্যান্ডের। এই প্রসঙ্গে ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, চিকিৎসার জন্য উপকারী খাদ্য এবং পানীয় হিসেবে গাঁজা গ্রহণ করা চললেও নেশা দ্রব্য হিসেবে গাঁজার ব্যবহার আগের মতোই অবৈধ। ফলে যদি কেউ মাদক হিসেবে গঞ্জিকা সেবন করেন জনসমক্ষে, তাহলে তার বিরুদ্ধে কড়া আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। থাইল্যান্ডের আইন অনুযায়ী, জনসমক্ষে গাঁজা খেলে তিন মাসের জেল এবং ৬০ হাজার থাইল্যান্ড মুদ্রার জরিমানার শাস্তি রয়েছে। এর সঙ্গেই বিদেশি পর্যটকদেরও হুঁশিয়ারি দিয়ে থাইল্যান্ড স্বাস্থ্যমন্ত্রকের এই বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে বিদেশি পর্যটকরা কখনই ভাববেন না যে থাইল্যান্ড এসে যথেচ্ছ গাঁজা খাওয়া যাবে।