বেজিং: এবারের কোফিডেও কি চিন তথ্য গোপন করতে শুরু করেছে? এই প্রশ্নই এখন গোটা পৃথিবীতে সামনে আসছে। চিনে নতুন করে যে করোনা আক্রান্তের বিস্ফোরণ হচ্ছে, তাই নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভারত সহ গোটা বিশ্বই। তবে কোনওভাবে চিন তাদের কোভিড পরিস্থিতি সামনে আনতে চাইছে না।
চিনে দৈনিক কত সংখ্যায় করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন? এই প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক হলেও এখানেও তথ্যে জমিন- আসমানের ফারাক রয়েছে। বেজিং জানাচ্ছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৩৭৬১ জনের করোনা ধরা পড়েছে। তার আগের দিন দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩০৩০। তবে ওয়াকিবহাল মহল বলছে, এই সংখ্যা আদৌ ঠিক নয়। কারণ, একাধিক সংবাদমাধ্যম দাবি করেছে, চিনে নাকি রোজ ১০ লক্ষ করে করোনা আক্রান্তের খোঁজ মিলছে৷ মৃত্যুর সংখ্যা এতটাই বেশি যে দাহকার্যে ২৪ ঘণ্টার বেশি সময়ও লেগে যাচ্ছে।
সোশ্যাল মিডিয়াতে দাবি করা হয়েছে, চিনের চিকিৎসা পরিকাঠামো এর মধ্যেই ভেঙে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র এমনকী জ্বরের ওষুধও ঠিকমতো পাওয়া যাচ্ছে না। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, শাংহাইতে করোনা আক্রান্তের গ্রাফ লাগামছাড়াভাবে বাড়ছে। যুদ্ধের জন্য প্রশাসনের তরফ থেকে হাসপাতালগুলিকে তৈরি থাকতে বলা হয়েছে।
শাংহাই প্রদেশের অর্ধেকের বেশি মানুষ এই বছর শেষের আগেই করোনা আক্রান্ত হয়ে যাবেন বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। হাসপাতালের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যেও ব্যাপকহারে সংক্রমণ ছড়িয়েছে। তাদের মাধ্যমে পরিবারের সদস্যরাও আক্রান্ত হয়ে পড়ছেন। ফলে এক মারাত্মক বিভীষিকার মধ্যে দিয়ে গোটা চিন ফের যেতে শুরু করেছে। চিনের একাধিক ছোট ছোট প্রদেশে করোনার ভয়াবহ কামড় দেখা দেওয়ায় পরিকাঠামো সম্পূর্ণরূপে ভেঙে পড়েছে বলে খবর। কিন্তু এইসব তথ্যের সত্যতাসত্য যাচাই করেনি আজ বিকেল।
প্রথমবার চিন থেকেই করোনা শুরু হয়েছিল। সেইসময় করোনার তথ্য লুকিয়ে রেখেছিল চিন। এরপর সেই অতিমারি ভয়াবহ আকার নিয়ে গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। মানুষের জীবন কার্যত দুটো বছর প্রায় অচল হয়ে যায়। গোটা বিশ্ব ফের সচল হওয়ার রাস্তায় হাঁটা শুরু করার সময় ফের নতুনভাবে করোনা আতঙ্ক।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু চিনের এই করোনা প্রকোপ নিয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন। কিন্তু চিন কতটা সত্য তথ্য বাইরে প্রকাশ করবে, তার উপরে করোনা গ্রাফ নির্ধারিত হবে। একথাও মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। সংক্রমণ থাকলেও বহু মানুষ পরীক্ষা করাচ্ছেন না বলেও অভিযোগ উঠেছে।